আশা জাগিয়ে বিদায় নিলেন দিয়াও
রোমান সানার মতো জয়ে শুরু করেছিলেন দিয়া সিদ্দিকীও। তবে প্রথম সেট জেতার জন্য কঠিন লড়াই করতে হয় তাকে। যদিও দ্বিতীয় সেটে সেই ধারায় থাকা হয়নি দেশসেরা এই নারী আর্চারের। এরপর ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন, আশা জাগিয়েছেন পরের রাউন্ডে যাওয়ার। কিন্তু তা হয়নি, টোকিও অলিম্পিকের রিকার্ভ মহিলা এককের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন দিয়া।
শেষ ৩২-এর লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার ইউমেনোশিমা ফিল্ডে বেলারুশের কারিনা জোমিন্সকায়ার কাছে ৬-৫ সেট পয়েন্টে হেরে যান দিয়া। পাঁচ সেটে ৫-৫ পয়েন্টের সমতার পর টাইব্রেকারে ১০-৯ ব্যবধানে হেরে যান দিয়া।
বেলারুশের জোমিন্সকায়ার সঙ্গে দিয়ার দফাৎ ছিল অনেক। এরপরও ১৭ বছর বয়সী এই আর্চার দারুণ লড়াই করেন। মহিলা এককের র্যাঙ্কিংয়ে জোমিন্সকায়া ৩১তম স্থানে। আর দিয়ার অবস্থান ১৫৫ নম্বরে। অভিজ্ঞতায়ও পিছিয়ে ছিলেন তিনি। যদিও এসব বিষয় পেছনে ফেলে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছেন দিয়া।
প্রথম সেট জিতলেও শুরুটা ভালো ছিল না দিয়ার। প্রথম শটে ৬ স্কোর তোলেন তিনি। পরের দুই শটে অবশ্য ভালোই স্কোর তোলেন। পরের দুই শটে ৯ ও ৮ স্কোর গড়ে এই সেট ২৩-২২ ব্যবধানে জিতে নেন বাংলাদেশের এই আর্চার। দ্বিতীয় সেটে জোমিন্সকায়া ২৬-২৫ ব্যবধানে জেতেন।
প্রথম সেটের মতো তৃতীয় সেটেও ভালো শুরু করতে পারেননি দিয়া, প্রথম শটে তোলেন ৭ স্কোর। যদিও পরের দুই শটে ৯ করে স্কোর তুলে এই সেট ২৫-২৫ সমতায় শেষ করেন তিনি। আর চতুর্থ সেটে শুরুর শটে ১০ স্কোর তুলেও পরের দুই শটে ভালো করতে পারেননি দিয়া। ৮ ও ৭ স্কোর তোলা দিয়া হেরে যান ২৭-২৫ ব্যবধানে।
পঞ্চম সেটে গড়ায় ম্যাচ। এই সেটেও দাপুটে শুরু হয় দিয়ার, প্রথম শটে তোলেন ১০ স্কোর। এই সেট ২৭-২৫ ব্যবধানে জেতেন তিনি। আশা জাগিয়ে শুট-অফে হার যান দিয়া। তার ম্যাচ দিয়ে অলিম্পিকে আর্চারির মিশন শেষ হলো বাংলাদেশের।