ঈদের ছুটিতে ক্রিকেটারদের বিসিবির কড়া নির্দেশনা
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু আগামী ২৩ মে। সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতির জন্য বেশ সময় থাকলেও সব প্রস্তুতি সেরে নেওয়া যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। করোনা পরীক্ষার পর ১০ মে থেকে অনুশীলনের সুযোগ মেলে।
এর মধ্যে আবার ঈদের ছুটিতে যাচ্ছেন ক্রিকেটারররা। ১১ মে থেকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। এই ছুটির সময়ে ক্রিকেটারদের জন্য কড়া দির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি)। ক্রিকেটারদের তাদের করণীয় জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, 'আমরা সব ক্রিকেটারকে নির্দেশ দিয়েছি যেন ছুটির সময় তারা সতর্ক থাকেন। চলাফেরা, সামাজিকতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা তাদের মেনে চলতে বলা হয়েছে, যেহেতু ঈদের পরই সিরিজ। আমাদের মেডিকেল বিভাগ থেকে তাদের বলা হয়েছে, তারা যেন জনসমাগমে একদমই না যান। করোনামুক্ত থাকতে যা যা করণীয়, সবই তাদের করতে বলা হয়েছে।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে গত দুই সপ্তাহ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটারা। ঈদের ছুটির পর আগামী ১৮ মে শুরু হবে অনুশীলন। ১৮ মে থেকে পুরো দল নিয়ে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ। শুরুর দিনই অনুশীলনে যোগ দিতে পারেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানও। সেটা না হলে ২০ মে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে থাকা এই দুই ক্রিকেটার।
ওয়ানডের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা গত ২ মে থেকে অনুশীলন করে আসছেন। ঈদের পর ১৮ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে বিসিবি। ওই দল নিয়ে অনুশীলন শুরু হবে। চূড়ান্ত দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে জৈব সুরক্ষা বলয়ে নিয়ে অনুশীলন করানো হবে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ১৬ মে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। এসে সাতদিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে লঙ্কানদের, এর মধ্যে তিন দিন রুম কোয়ারেন্টিন। ২৩ মে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। পরের দুটি ওয়ানডে ২৫ ও ২৮ মে মিরপুরেই অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই হবে দিবা-রাত্রির।