কষ্টে ছিলেন লিটন
সারা বছর ব্যাট-বল হাতে মাঠেই সময় কাটে। ম্যাচ খেলতে ঘুরে বেড়াতে হয় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। ম্যাচ আর ভ্রমণেই সারা বছর ব্যস্ত থাকতে হয় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। কিন্তু হঠাৎ-ই সব থমকে গিয়েছিল। করোনাভাইরাসের ছোবলে নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখা ছাড়া উপায় ছিল না ক্রিকেটারদের। সারা বছর যাদের মাঠে সময় কাটে, তাদের কী আর ঘরে মন বসে?
ঘরে মন বসলেও সেটা কয়েকদিনের জন্য হতে পারে। কিন্তু করোনায় দীর্ঘ সময় মাঠের মুখ দেখতে পারেননি ক্রিকেটাররা। প্রায় ৫ মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছে সবাইকে। ঘরে বসে শুধু ফিটনেস নিয়েই কাজ করেছেন তারা। লম্বা এই সময়টা তাই কষ্টেই কেটেছে অনেকের। এদের মধ্যে একজন লিটন কুমার দাস।
সোমবার মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পর জাতীয় দলের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'আমরা ক্রিকেট খেলছিলাম নিয়মিত। একটা জায়গা থেকে বিরতি পড়া, মাঠে না আসা; এসব কঠিন ব্যাপার। বাসা আর মাঠের মধ্যে পার্থক্য থাকে। এদিক দিয়ে অনেক কষ্ট লেগেছে যে, অনেকদিন ধরে মাঠে যেতে পারছি না, খেলতে পারছি না।'
দীর্ঘ এই বিরতিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন লিটন। আর খুঁটে খুঁটে দেখেছেন নিজের ব্যাটিং, 'লকডাউনে আমি বেশিরভাগ সময় বাসায় ছিলাম। পরিবারের সাথে অনেক সময় কাটিয়েছি। ওই সময়ে আমি নিজের আগের ব্যাটিং দেখেছি যে কী কী উন্নতি করা যায়। পাশাপাশি কোচদের সাথেও কথা বলেছি যে, কী করলে উন্নতি করা যায়। বাসায় করা যায়, এমন কিছু ড্রিল করেছি।'
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য মিরপুর স্টেডিয়াম অন্যতম ভালো লাগার জায়গা। এই মাঠে ফিরতে পেরে অন্যদের মতো লিটনও তাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন, 'মিরপুরে ফিরতে পারায় অনেক ভালো লাগছে। কারণ অনেক দিন পর ক্রিকেট ব্যাট ধরতে পারছি, ব্যাটিং করতে পারছি। সবচেয়ে বড় জিনিস উইকেটের মধ্যে ব্যাটিং করা।'
'এই জিনিসটা অনেক স্বস্তি দিচ্ছে যে, সামনে হয়তো ক্রিকেট আছে। আসলেই ক্রিকেট আছে সামনে। চেষ্টা করব সামনে যে সিরিজটা আছে, প্রস্তুতি নিয়ে ওখানে যেন ভালো কিছু করা যায়। সব মিলিয়ে এতোদিন পর মাঠে এসে সবার সাথে দেখা হওয়াতেও ভালো লাগছে। যাদের সাথে আমি সব সময় খেলি, তাদের কাছে পাচ্ছি এবং কথাবার্তা শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।' যোগ করেন লিটন।
লম্বা বিরতির কারণে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়তে হয়েছে বলে মনে করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে এসব কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে না বলেই বিশ্বাস লিটনের, 'বিরতির কারণে হয়তো আমরা সবাই একটু পিছিয়ে আছি। আগের যে সিরিজটা খেলেছি, সেখান থেকে আত্মবিশ্বাস আছে। আমি চেষ্টা করছি অনুশীলনে মনোযোগ ফিরিয়ে আনার। আগের সিরিজটা যে মনোযোগ দিয়ে শেষ করেছি, এই মনোযোগটা যেন মাঠে আবার ফিরিয়ে আনতে পারি।'