কাল থেকে মাঠের অনুশীলনে ৯ ক্রিকেটার
অবশেষে অপেক্ষা ফুরাচ্ছে। খুলে দেওয়া স্টেডিয়ামের বন্ধ দুয়ার। আবারও মাঠের অনুশীলনে ফিরছেন ক্রিকেটারা। দলীয় অনুশীলন শুরু না করলেও ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রোববার থেকে দেশের চারটি স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু হচ্ছে। আপাতত ৯ জন ক্রিকেটার মাঠের অনুশীলনে ফিরছেন।
অনেক আগে থেকেই মাঠ প্রস্তুত রেখেছে বিসিবি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দলীয় অনুশীলনের ব্যাপারটি নিয়ে সেভাবে এগোয়নি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। উল্টো ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন করার আবেদনে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করে এসেছে বিসিবি।
এ পথে ক্রিকেটারদের আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে বিসিবি। মাঠের অনুশীলনে ফিরতে প্রচন্ড আগ্রহী ক্রিকেটারদের খোঁজ করা হয়েছে। এমন ক্রিকেটারদের নাম বিসিবিতে জমা দিতে বলা হয়েছিল। বিসিবির কাছ থেকে এমন আহ্বান পেয়ে ৯ জন ক্রিকেটার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
অনুশীলন করতে আগ্রহী ৯ ক্রিকেটার বিসিবিকে নিজেদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তারা হলেন মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান সোহান ও নাঈম হাসান। এই ৯ জন ক্রিকেটার রোববার থেকে আলাদা আলাদাভাবে স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন।
ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন মুশফিক, ইমরুল, মিঠুন ও শফিউল। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন সোহান ও মেহেদী। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন খালেদ ও নাসুম। এ ছাড়া চট্টগ্রামে একাই অনুশীলন করবেন স্পিনার নাঈম। এই ৯ ক্রিকেটারের অনুশীলনের জন্য আপাতত ৭ দিনের একটি সূচি তৈরি করেছে বিসিবি।
মাঠে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হলেও থাকছে বিধি-নিষেধ। দুজন ক্রিকেটার এক সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবেন না। অনুশীলনের জন্য ইতোমধ্যে ক্রিকেটারদের ভিন্ন ভিন্ন সময় ঠিক করে দিয়েছে বিসিবি। আপাতত জিম ও রানিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্যাটসম্যানরা ৪৫ মিনিটের স্কিল ট্রেনিং করতে পারবেন। ঢাকার বাইরের ব্যাটসম্যানরা অবশ্য ভিন্ন নির্দেশনা পেয়েছেন। তাদেরকে শুধু ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পেসারদেরও ফিটনেস নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ক্রিকেটারদের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য ৩৮ জনের দল প্রস্তুত করা হয়েছে গত মাসে। কয়েকদিন আগে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) ২৬ জনের দলও গঠন করা হয়। ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে নির্বাচকদের বিবেচনায় থাকা এসব ক্রিকেটারদের যোগাযোগ করেছিল বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ।
কঠিন সময়ে অনুশীলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিসিবির মেডিকেল টিমের ওপর থাকছে বিশেষ দায়িত্ব। এই অবস্থায় স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যাপারটি কতটা নিরাপদ, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, নিরাপদ দূরত্ব; এসব বিষয় তদারকি করবে বিসিবির মেডিকেল টিম।