কাল সকালে ঢাকা পৌঁছাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে স্থবিরতা ভেঙেছে, এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পালা। করোনাভাইরাসের দীর্ঘ বিরতির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে এই মিশন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসছে ক্যারিবীয়রা। রোববার সকালে ঢাকা পৌঁছাবে সফরকারীরা।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে রোববার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিমানবন্দর সমন্বয়ক ওয়াসিম খান।
করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে রওনা দেওয়া ক্যারিবীয়রা বাংলাদেশে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে। কোয়ারেন্টিনের প্রথম তিনদিন ক্রিকেটাররা হোটেল রুমে পুরোপুরি আইসোলেশনে থাকবেন। তৃতীয় দিনের পর দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষা হবে। ফল নেগেটিভ এলে নিজেদের স্কোয়াডের ভেতরে অনুশীলন শুরু করবে উইন্ডিজ। সেখানে অন্য কাউকে যুক্ত করা হবে না। সাত দিন পর অন্যদের সংস্পর্শে যেতে পারবেন খেলোয়াড়রা। এরপর বাংলাদেশের নেট বোলারদের নিয়ে সেশন শুরু করতে পারবে ক্যারিবীয়রা।
ঢাকায় পৌঁছেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের খেলোয়াড়, কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সবার করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষাটি হবে তৃতীয় দিনে। সপ্তম দিন, অর্থাৎ কোয়ারেন্টিনের শেষ দিনে হবে তৃতীয় পরীক্ষাটি। এ ছাড়া সিরিজের মাঝামাঝি সময়েও প্রয়োজনে করোনার পরীক্ষা করা হবে সফরকারী ক্রিকেটারদের।
বাংলাদেশ সফরের পূর্ব মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা রোমারিও শেফার্ড। তার জায়গায় কিয়োন হার্ডিংকে দলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কিনা এমন প্রশ্নে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, 'যেহেতু ও আসছে না, ওকে নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বাকি নিয়ম যেভাবে আছে, সেভাবে হবে। আইসিসি একটা গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছে আমাদের চিকিৎসকদের। আমরা সেটার মধ্যেই থাকব।'
প্রথম করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশে দলের সবাই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। শনিবার দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা রোববার অনুশীলন করে সোনারগাঁও হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকবেন। আপাতত সবাই নিজেদের আবাসস্থলে আইসোলেশনে আছেন।
১৮ জানুয়ারি বিকেএসপিতে ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ সফর শুরু করবে ক্যারিবীয়রা। ২০ ও ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ। ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে উইন্ডিজ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরু হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন তামিম, মুশফিক, মুমিনুলরা। দীর্ঘ ১০ মাস পর বিদেশি কোনো দলকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট স্কোয়াড: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জার্মেইন ব্ল্যাকউড (সহ-অধিনায়ক), এনক্রুমাহ বোনার, জন ক্যাম্পবেল, রাহকিম কর্নওয়াল, জশুয়া ডা সিলভা, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কাভেম হজ, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্স, শায়নে মোসলে, বীরসাম্মি পারমল, কেমার রোচ, রেমন রেফার ও জমেল ওয়ারিকান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে স্কোয়াড: জেসন মোহাম্মদ (অধিনায়ক), সুনীল আমব্রিস (সহ-অধিনায়ক), এনক্রুমাহ বোনার, জশুয়া ডা সিলভা, জাহার হ্যামিল্টন, কেমার হোল্ডার, আকেল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্স, আন্দ্রে ম্যাকার্থি, কেজর্ন ওটলি, রভম্যান পাওয়েল, রেমন রেফার, কিয়োন হার্ডিং ও হেডেন ওয়ালশ জুনিয়র।