ক্যারি-ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
সামনে ৩০৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। এমন ম্যাচে শুরুটা হলো চরম চরম দুঃস্বপ্নের। ৭৩ রানেই নেই অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট। এখান থেকে দলের হাল ধরলেন অ্যালেক্স ক্যারি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দুজনই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। তাতে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে গেল জয়ের খুব কাছে। এই দুই সেঞ্চুরিয়ান শেষ করে না ফিরতে পারলেও জয়ের হাসি ফুটলো অস্ট্রেলিয়ার মুখেই।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত চরম উত্তেজনার ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিক ইংলিশদের হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে অজিরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও ইংল্যান্ডকে সেটা বুঝতে দেননি ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ডানহাতি ব্যাটসম্যান দলকে এগিয়ে দেন অনেকটা পথ। এরপর স্যাম বিলিংসের হাফ সেঞ্চুরি ও শেষের দিকে ক্রিস ওকসের ব্যাটিং ঝড়। এতে ৭ উইকেটে ৩০২ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ইংল্যান্ড।
জবাবে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ১৭তম ওভারেই পঞ্চম উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় অজিরা। এখান থেকে দলকে টেনে তুলে ২১২ রানের জুটি গড়েন দুই সেঞ্চুরিয়ান ক্যারি ও ম্যাচ সেরা ম্যাক্সওয়েল। এই জুটিতেই অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। বাকি থাকা সামান্য কাজটুকু সারেন কামিন্স ও স্টার্ক।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা ইংল্যান্ডের ওপর শুরুতেই তোপ দাগেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই স্টার্ক ফেরান জেসন রয়কে। বাঁহাতি এই পেসার পরের বলে জো রুটকে আউট করেন।
এমন শুরুর পরও মাথা ঠান্ডা রেখে খেলে যান বেয়ারস্টো। ১২৬ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১২ রান করেন তিনি। এ ছাড়া বিলিংস ৫৭ ও ওকস অপরাজিত ৫৩ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক ও লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা তিনটি করে উইকেট নেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা অজিদের শুরুটাও হয় চরম হতাশার। ২১ রানে প্রথম উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ৭৩ রানের মধ্যে আরও ৪টি উইকেট হারায়। দল যখন অন্ধকারে, তখনই আলোক বর্তিকা হাতে হাজির হন ক্যারি ও ম্যাচ সেরা ম্যাক্সওয়েল। ক্যারি ১১৪ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৬ রান করেন। ম্যাক্সওয়েল ৯০ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কায় করেন ১০৮ রান। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও জো রুট ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০২/৭ (বেয়ারস্টো ১১২, মরগান ২৩, বিলিংস ৫৭, ওকস ৫৩*; স্টার্ক ৩/৭৪, কামিন্স ১/৫৩, জ্যাম্পা ৩/৫১)।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯.৪ ওভারে ৩০৫/৭ (ওয়ার্নার ২৪, লাবুশেন ২০, ক্যারি ১০৬, ম্যাক্সওয়েল ১০৮; ওকস ২/৪৬, আর্চার ১/৬০, রুট ২/৪৬)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে জয়ী
সিরিজ সেরা: গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)