খেলতে খেলতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন ক্রীড়া সাংবাদিক
এমনও মৃত্যু হয়! ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ) স্পোর্টস কার্নিভালে ব্যাডমিন্টনের দ্বৈতে প্রথম রাউন্ড জিতে উঠলেন সেমিফাইনালে। ম্যাচ তখন মাঝামাঝি পর্যায়ে। হঠাৎই পড়ে গেলেন। এরপর মাত্র কয়েক মিনিট। আর চোখ খুলে তাকানো হয়নি ক্রীড়া সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ খানের।
আক্ষরিক অর্থেই খেলতে খেলতে মারা গেলেন ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ মোস্তাক আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। মঙ্গলবার বাদ এশা যাত্রাবাড়ী ছনটেক জামে মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে মোস্তাক আহমেদের মরদেহ কুমিল্লার নিজগ্রাম মুরাদ নগরে দাফন করা হবে। গত কয়েক বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে বিএসপিএর ব্যাডমিন্টন ইভেন্ট চলছিল। ম্যাচের এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলে সেখানে উপস্থিতি সাংবাদিকরা তাকে সেবা শুশ্রুষা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জ্ঞান না ফেরায় মোস্তাক আহমেদকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিএসপি-এর স্থায়ী সদস্য ছিলেন মোস্তাক আহমেদ খান। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্রীড়া সাংবাদিকদের এই সংগঠনটি। এ ছাড়া শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), হ্যান্ডবল ফেডারেশন ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের আরেকটি সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ)।
দীর্ঘদিন ক্রীড়া সাংবাদিকতা করেছেন মোস্তাক আহমেদ। দৈনিক বাংলা দিয়ে সংবাদপত্রে পথচলা শুরু তার। এরপর নয়া দিগন্ত ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা রিপোর্টে কাজ করেন তিনি। সর্বশেষ বিডিস্পোর্টসটুয়েন্টিফোরডটকমে কর্মরত ছিলেন মোস্তাক আহমেদ।