ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি, দারুণ ইনিংসে বিশ্বকাপের অভিজাত তালিকায় বাটলার
আগে ব্যাটিং করতে নেমে শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের সামনে ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। ৩৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা তখন উল্টো পথের পথিক। এর মাঝেও এক পাশ আগলে ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন জস বাটলার। পরে যোগ দেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তাতেও অবস্থার বদল হচ্ছিল না, ১০ ওভারে তাদের রান ছিল মাত্র ৪৭ রান।
১৩তম ওভার থেকে সব পাল্টে যেতে লাগলো, ব্যাটকে তরবারিতে পরিণত করে ব্যাটিং শুরু করলেন বাটলার। ছন্দে পেয়ে মরগানও চার-ছক্কার পসরা সাজালেন। এই জুটিতে খারাপ সময় কাটিয়ে অনেকটা পথ পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। চতুর্থ জুটিতে ১১২ রানের জুটি গড়ার পথে লঙ্কান বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিলেন বাটলার-মরগান। তাদের জুটিতেই শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৬৩ রান তুলেছে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়তে থাকা ইংল্যান্ড।
মরগান ৪০ রান করে থামেন। ততোক্ষণে ৫৯ বলে ৮৬ রানে পৌঁছে গেছেন বাটলার। বাকি ছিল আর ১০ বল, এর মধ্যে ৮টি বল খেললেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে নাম উঠে গেল তার। শেষ বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান তিনি।
৬৭ বলে ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন বাটলার। নামের পাশে যোগ হলো টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপের অভিজাত তালিকাতেও উঠল তার নাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তবে তার সেঞ্চুরিটি বিশ্বকাপের নবম, ক্রিস গেইল দুটি সেঞ্চুরির মালিক।
দেশের জার্সি গায়েও এটা বাটলারের দারুণ অর্জন। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন তিনি। ইংল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেন অ্যালেক্স হেলস।
৬৭ বলে ১০১ রান, অথচ হাফ সেঞ্চুরি করতেই বাটলার বল খরচা করেন ৪৫টি। পরের ৫১ রান তুলতে তার খরচা মাত্র ২২ বল। এদিন বাটলার ও মরগানই ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট চালিয়েছেন। আউট হওয়া তিন ব্যাটসম্যান রান করতে পারেননি। জেসন রয় ৯, দাভিদ মালান ৬ ও জনি বেয়ারস্টো ০ রান করেন। মঈন আলী ২ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩টি ও দুশমন্ত চামিরা একটি উইকেট নেন।