ডাক্তারদের জন্য মাশরাফির ‘ডক্টরস সেফটি চেম্বার’
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। উল্টো বাড়ছে ভয়াবহতা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তাররোধে পুরো দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুরো দেশ।
কঠিন এই সময়ে দুস্থ-অসহায়দের দিকে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার। এর মধ্যে অন্যতম জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাঠে থেকে কাজ করছেন নড়াইল-২ আসনের এই সংসদ সদস্য। সরকারি ও নিজ অর্থায়নে বিভিন্নভাবে নড়াইলের দুস্থদের সাহায্য করে যাচ্ছেন তিনি। তারই ধরাবাহিকতায় এবার 'ডক্টর্স সেফটি চেম্বার', অর্থাৎ ডাক্তারদের সুরক্ষিত রুম বানিয়ে দিলেন মাশরাফি।
নিজ অর্থায়নে নড়াইল সদর হাসপাতালে 'ডক্টরস সেফটি চেম্বার' বানিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। বুধবার বিকেলে সদর হাসপাতালের গেটের ভেতরে এই চেম্বার স্থাপন করা হয়। এই চেম্বারের মধ্যে বসবেন ডাক্তার। করোনা সন্দেহভাজন রোগীরা এই চেম্বারের বাইরে বসে চিকিৎসা সেবা নেবেন।
করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন মাশরাফি এবং তার ফাউন্ডেশন। করোনার প্রভাব বিস্তারে কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েন নড়াইলের রিকশা-ভ্যানচালক, রাস্তার পাশের চা বিক্রেতা, হকাররা। এমন তিনশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
এরপর কর্মহীন মানুষদের সাহায্যে বিসিবি থেকে পাওয়া এক মাসের বেতনের অর্ধেকটা দান করেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। কদিন পর নিজ অর্থায়নে নড়াইলে ১ হাজার ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের সুরক্ষায় নিজ অর্থায়নে নড়াইলের ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০০ পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুয়েপমেন্ট) দেন মাশরাফি। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম।
কদিন আগে নড়াইল সদর হাসপাতালের গেটে জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করেছে মাশরাফির নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী, চিকিৎসক, নার্স, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ অন্যান্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া নড়াইল কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বন্দীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সাবান, মাস্ক, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন তিনি।