তামিম-মুস্তাফিজদের কাছ থেকে শিখছেন শরিফুল
যুব বিশ্বকাপ জিতে রাজার বেশে দেশে ফেরা। দেশে ফিরে রাজকীয় সংবর্ধনা পাওয়া যুব ক্রিকেটাররা খুব বেশিদিন ক্রিকেট খেলতে পারেননি। করোনাভাইরাসের প্রকোপে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে বিশ্বজয়ী যুবাদের। করোনার প্রকোপ না থাকলে প্রিমিয়ার লিগসহ, অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিশেষ প্রোগ্রামে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যেত আকবর আলীদের।
অবশেষে যুবাদের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। হাই পারফরম্যান্স দলের (এইচপি) ক্যাম্প দিয়ে মাঠে ফিরেছেন বিশ্বজয়ী দলের ১৩জন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে আবার ৮ জন ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলার। এদের মধ্যে অন্যতম শরিফুল ইসলাম।
তামিম ইকবালের হয়ে খেলা বাঁহাতি এই পেসার ইতোমধ্যে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আগুন ঝরা বোলিং করতে দেখা গেছে তাকে। ৩৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন শরিফুল। দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফিরে ধীরে ধীরে চেনা ছন্দে ফিরছেন তরুণ এই পেসার। পাশাপাশি তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের কাছ থেকে শিখছেন অনেক কিছুই।
১৯ অক্টোবর মাহমুদউল্লাহ একাদশের মুখোমুখি হবে শরিফুলদের দল। এই ম্যাচের আগেরদিন শরিফুল বললেন, 'তামিম ভাই আমাকে বোলিংয়ের সময় বা নেট করার সময় অনেক কিছু বলেন। তারপর মুস্তাফিজ ভাই আছেন আমাদের দলে, উনাকে আমি অনেক প্রশ্ন করি। উনি সব কিছু সুন্দরভাবে শেখায়, বোঝায়।'
'সাইফুদ্দিন ভাইকেও জিজ্ঞাসা করি। ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতার জায়গা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। তাদের সাথে সব কিছু শেয়ার করে ভালো লাগছে যে তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করলে সাথে সাথে সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়।' যোগ করেন শরিফুল।
দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দে থাকলেও প্রথম ম্যাচে সমস্যা হচ্ছিল বলে জানান শরিফুল। দীর্ঘ বিরতির প্রভাবের কারণে সবকিছু ঠিকভাবে হাচ্ছিল না। শরিফুল বলেন, 'বিশ্বকাপের পর প্রিমিয়ার লিগে একটা ম্যাচ খেলে ৬-৭ মাস পরে সরাসরি এখানে এসেছি। প্র্যাকটিস করার পরে ম্যাচ খেললাম। প্রথম দিকে গেম ফিটনেস, গেম সেন্স কাজ করছিল না। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মোটামুটি খেলেছি। ভালো লাগছে যে এতদিন পরে মাঠে ফিরেছি।'
জৈব সুরক্ষা বলয়ের অংশ হিসেবে হোটেল সোনাগাঁওয়ে আছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে অংশ নেওয়া ক্রিকেটাররা। স্বাভাবিকভাবেই অন্য সবার মতো এই অবস্থার সঙ্গে পরিচয় নেই শরিফুলের। যে কারণে নিজেকেই অন্যরকম লাগছে বলে জানালেন তরুণ এই পেসার।
শরিফুল বলেন, 'বায়ো-বাবলে থাকা অবস্থায় নিজেকে একটু অন্য রকম লাগসে। এর আগে যখন খেলেছি এতোটা ঘরবন্দী ছিলাম না, বাইরে যেতাম, ঘুরতাম, অবসর সময়ে একটু আড্ডা দিতাম। এখন আর সেটা হয় না।'
মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে তরুণ এই ক্রিকেটার বলেন, 'গামীকালের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ফাইনালের থেকেও। যদি জিতি, তাহলে ফাইনালে যেতে পারব। না গেলে পরেরটা কী হবে বলা যায় না। কালকের ম্যাচটাই আসল। তাই কাল আমরা ফাইনাল মনে করেই খেলব।'
নাজমুল একাদশ দুটি ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেছে। বোরবারের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে জিতলে তামিম ইকাদশও ফাইনালের পথে এগিয়ে যাবে। কারণ এই ম্যাচে হারলে মাহমুদউল্লাহর দলের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।