দুস্থদের খাবারের ব্যবস্থা করলেন লিটন-সঞ্চিতা
করোনাভাইরাস সতর্কতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকরা। শুধু সতর্কবার্তা দেওয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নেই তাদের কার্যক্রম। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবেলায় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য তহবিল গঠন করেছেন বাংলাদেশের ২৭জন ক্রিকেটার।
করোনা প্রতিরোধে নিজেদের এক মাসের বেতনের অর্ধেকটা দান করবেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের এই প্রচেষ্টার অংশ হয়েছেন জাতীয় দলের ডানহাতি ওপেনার লিটন দাসও। করোনা প্রতিরোধে স্বামী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, স্ত্রী হিসেবে সঞ্চিতারও তো দায়িত্ব আছে! এমন তাগিদ অনুভব করায় বসে নেই লিটনের স্ত্রীও।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়া এই অবস্থায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সঞ্চিতাও। লিটনের সাহায্যে দুস্থ মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এই কাজে সাহায্য করায় স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন সঞ্চিতা। বিষয়টি তিনি নিজেই ফেসবুকে জানিয়েছেন।
পলিথিনে প্যাকেট করা খাবারের ছবি ফেসবুক পোস্ট করে সঞ্চিতা লিখেছেন, 'এই মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি কিছু করার সামর্থ্য আমার নেই। সাহায্য করার জন্য এখানে কেউ নেই। শেষ মুহূর্তে আমরা যতটা পেরেছি, কেনার চেষ্টা করেছি। যদিও কাজটা কিছুটা ঝুঁকির ছিল। সময়টা এখন ঘরে থাকার। দয়া করে কিছু করুন সবাই। যতটা পারেন অন্যকে সাহায্য করুন। আপনার সামান্য সাহায্য অন্যদের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসুক।'
এ কাজে সাহায্য করায় লিটনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন সঞ্চিতা। শেষ লাইনে স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিটনের স্ত্রী লিখেছেন, 'লিটন দাস, এই সঙ্কটে তুমি আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছ, সেটা আমি কখনই ভুলব না।'
এর ঘণ্টাখানেক আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন লিটনও। ডানহাতি এই ওপেনার তার পোস্টে লেখেন, 'আপনারা সবাই জানেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চারদিকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯ রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে।'
পোস্টে লিটন আরও লেখেন, 'সেটির অংশ হিসেবে আমরা ক্রিকেটাররা একটা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি, যেটি হয়তো অনুপ্রাণিত করতে পারে আপনাদেরও। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থাকা ও গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আমরা মোট ২৭ ক্রিকেটার এক মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে একটা তহবিল গঠন করেছি। এই তহবিল ব্যয় হবে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও সাধারণ মানুষ, যাদের গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় জীবন চালিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়।'