পর্দা নামল টোকিও অলিম্পিকের, পদক তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের দাপট
করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে অনেক বিতর্ক, সমালোচনার মধ্যেই শুরু হয়েছিল টোকিও অলিম্পিক। মাঠে গিয়ে পদকের লড়াই দেখার সুযোগ মেলেনি। তবে মহামারীর এই সময়ে টোকিও অলিম্পিক কিছুটা হলেও প্রাণসঞ্চার করেছিল ক্রীড়ামোদীদের।
অবশেষে ভাঙলো মেলা, শেষ হলো 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' খ্যাত অলিম্পিক। ১৭ দিনে ৩৩৯টি পদকের লড়াই শেষে রোববার পর্দা নেমেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের। ক্রীড়াপ্রেমীদের অপেক্ষা শুরু হলো ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের।
রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মশাল নেভানোর মাধ্যমে ইতি টানা হয় অলিম্পিকের ৩২তম আসরের। উদ্বোধনীতে মশাল জ্বেলেছিলেন প্রথম জাপানি হিসেবে টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা তারকা নাওমি ওসাকা। সমাপনী অনুষ্ঠানে টোকিওর মেয়র ইউরিকো কোইকে পতাকা তুলে দেন আইওসি প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের হাতে। তিনি সেটা তুলে দেন আগামী আসরের আয়োজক শহর প্যারিসের মেয়র আন হিদালগুর হাতে।
অলিম্পিকে সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের দাপট থাকে। এবারও পদক তালিকার শীর্ষে থেকে অলিম্পিক শেষ করেছে দেশটি। যদিও এবার মনে হয়েছিল চীনের শ্রেষ্ঠত্ব দেখবে দুনিয়া। ১৬তম দিনেও পদক তালিকার শীর্ষে ছিল চীন। কিন্তু শেষ দিনে এসে শীর্ষস্থান দখল করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদিন তিনটি স্বর্ণ জিতে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
টোকিও অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পদক ১১৩টি। এর মধ্যে ৩৯টি স্বর্ণ, ৪১টি রৌপ্য ও ৩৩টি ব্রোঞ্জ জিতেছে তারা। অলিম্পিকের গত আসরে ১২১টি পদক জিতে শীর্ষে ছিল দেশটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের মোট পদক ৮৮টি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি কম ৩৮টি স্বর্ণ জিতেছে তারা। এ ছাড়া ৩২টি রৌপ্য ও ১৮টি ব্রোঞ্জ জিতেছে দেশটি।
আয়োজক দেশ জাপানের অবস্থান তিন নম্বরে। তারা ২৭টি স্বর্ণ, ১৪টি রৌপ্য ও ১৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ৫৮টি পদক জিতেছে। চার নম্বরে থেকে আসর শেষ করা গ্রেট ব্রিটেন ২২টি স্বর্ণ, ২১টি রৌপ্য ও ২২টি ব্রোঞ্জসহ ৬৫টি পদক জিতেছে।
রিও অলিম্পিকে ৩০৭টি স্বর্ণ পদকের নিষ্পত্তি হয়েছিল। টোকিও অলিম্পিকে ৩৩৯টি স্বর্ণের নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। যদিও হয়েছে ৩৪০টি। হাই জাম্পে কাতারের মুতাজ ইসা বারশিম ও ইতালির জিয়ানমার্কো তামবেরি পদক ভাগাভাগি করায় পদকসংখ্যা বাড়ে একটি। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ কোনো পদক জিততে পারেনি।