পুরনো অভ্যাসে সেই একই হারের গল্প
'দিন যায়, কথা থাকে'- জনপ্রিয় এই গানটির মতো করে ভাবলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে দিন পেছনে ফেলে রেখে এসেছে, তার বেশিরভাগ অংশেই হতাশার গল্প। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে কম-বেশি সফলতা প্রায়ই ধরা দেয়। কিন্তু টেস্ট এলেই লেখা হয় বিষাদের কাব্য, যেখানে দুঃখিনী দলটির নাম বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও তেমনই হলো। হতাশার পারফরম্যান্সে মেনে নিতে হলো বিশাল হার।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে গেছে মুমিনুল হকের দল। বড় এই হারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সাইকেল শুরু হলো বাংলাদেশের। প্রথম সাইকেলে জয়হীন ছিল বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান তোলে। লিটন কুমার দাস ১১৪ ও মুশফিকুর রহিম ৯১ রান করে। জবাবে তাইজুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে ২৮৬ রানে থামে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। তাইজুল নেন ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে মেলে ৪৪ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ১৫৭ রান তুললে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রান। যা পাড়ি দিতে কোনো বেগই পেতে হলো না বাবর আজমের দলকে।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করে পাকিস্তান। বিনা উইকেটে ১০৯ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে সফরকারীরা। আবিদ আলী ৫৬ ও আবদুল্লাহ শফিক ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। পঞ্চম দিনে ১০ উইকেটে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৯৩ রান। এরপরও চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, যেকোনো কিছু হতে পারে। বিশেষ কিছু আশায় আছেন তিনি। কিন্তু সেই 'বিশেষ কিছু' দুই উইকেটের বেশি হলো না।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় থাকলেও টেস্টে সেটা এখনও অধরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা ছিল বাংলাদেশের ১২তম টেস্ট। এর মধ্যে ১১ ম্যাচেই বাংলাদেশের হার, একটি ম্যাচ ড্র হয়। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা বাংলাদেশের ষষ্ঠ হার, চট্টগ্রামে তৃতীয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫৭
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩, আজহার ২৪*, বাবর ১৩*; তাইজুল ১/৮৯, এবাদত ০/৩০, মিরাজ ১/৫৯, আবু জায়েদ ০/২৩)।
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: আবিদ আলী (পাকিস্তান)।
সিরিজ: পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।