ফাইনালে খুলনার প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম
এলিমিনেটর জিতে ফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছিল বেক্সিমকো ঢাকা। কিন্তু ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জয়ের পর দলটিতে স্বস্তি ছিল না। ম্যাচ চলাকালীন নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হওয়ায় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। দলের মধ্যেও হয়েছে অনেক আলোচনা। মাঠের এই অনাকাঙিক্ষত ঘটনাই ঢাকার মনোবলে চিড় ধরিয়েছে কিনা, তা এখন বড় প্রশ্ন! ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বিবর্ণ ঢাকাকে দেখার পর এসবও এখন আলোচনার বিষয়বস্তু।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গ্রুপ পর্বের সেরা দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতা চট্টগ্রাম আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালে জেমকন খুলনার মুখোমুখি হবে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খুলনার বিপক্ষে ৪৭ রানে হেরে যাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনের দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালের টিকেট কাটলো।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বেক্সিমকো ঢাকা। চট্টগ্রামের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে এদিন ঢাকার কোনো ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ১১৬ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৫ রান করে করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও আল আমিন জুনিয়র।
জবাবে দারুণ শুরুর পরও ম্যাচ কঠিন করে ফেলে চট্টগ্রাম। শেষ ১২ বলে ১৩ রান দরকার পড়ে তাদের। শেষ ওভারের প্রথম বলে রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৫ বল হাতে রেখে ফাইনালে ওঠে গ্রুপ পর্বের ৮ ম্যাচের ৭টিতে জেতা দলটি।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি চট্টগ্রামের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার। ২৭ রান করে সৌম্য রান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। লিটন ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনই শেষ করে মাঠ ছাড়তে পারতেন। কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে দুজনই আউট হন। লিটন ৪৯ বলে ৪টি চারে ৪০ এবং মিঠুন ৩৫ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন। বাকি থাকা কয়েক রান নিয়ে শেষ করেন শামসুর রহমান শুভ ও মোসাদ্দেক। ঢাকার মুক্তার আলী ও আল আমিন জুনিয়র একটি করে উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা বেক্সিমকো ঢাকা পুরো ইনিংস ধরে ধুঁকেছে। দুই ওপেনার সাব্বির রহমান ও মুক্তার আলী দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে ব্যর্থ হন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। সর্বোচ্চ ২৫ রান করে করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও আল আমিন জুনিয়র। এ ছাড়া সাব্বির রহমান ১১, নাঈম শেখ ১২ ও ইয়াসির আলী ২৪ রান করেন। দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টাম্প টুকরো টুকরো করা মুস্তাফিজ ৩টি ও শরিফুল ২টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতে মুস্তাফিজ।