দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অনুশীলনে অনুপস্থিত রোনালদো
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই নক-আউট পর্বে পৌঁছে গেছে পর্তুগাল। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচটি নিয়মরক্ষার। তবে এই ম্যাচ জিতলে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে পরের রাউন্ডে যেতে পারবে পর্তুগাল। অথচ সেই ম্যাচের আগে পর্তুগালের অনুশীলন মাঠে দেখা গেল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে তার গোল বাতিল হওয়ায় রাগ করেই কি অনুশীলনে গরহাজির রোনালদো? আর ওই ঘটনার জেরে কি পর্তুগাল শিবিরে কোনো অশান্তি তৈরি হয়েছে? নাকি অন্য কোনো সমস্যা হয়েছে পর্তুগাল অধিনায়কের?
তবে ভক্তরা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, শারীরিক কোনো সমস্যা নেই রোনালদোর। এমনিতেই নাকি অনুশীলন করেননি তিনি, তবে একাই অনেকটা সময় জিমে শরীরচর্চা করেছেন। দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
সোমবার রাতে উরুগুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে ব্রুনো ফের্নান্দেসের করা একটি গোল নিয়েই যত গোলমাল বেঁধেছে। ফের্নান্দেসের করা ক্রসে হেড দেওয়ার জন্য লাফিয়েছিলেন রোনালদো। বল জালে জড়িয়ে যেতে উৎসব করতে দেখা যায় রোনালদোকে। গোলটি তার নামেই লেখা হয়েছিল প্রথমে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল রোনালদোর মাথায় লাগেনি। তখন রোনালদোর বদলে গোলটি দেওয়া হয় ফের্নান্দেসকে, যা মেনে নিতে পারছিলেন না রোনালদো।
ম্যাচ শেষেও রোনালদোকে দেখা যায় রেফারিকে গোলটির ব্যাপারে বলতে। তিনি তখনও দাবি করেন যে, বল তার মাথায় লেগেছে, রিপ্লেতে তা বোঝা যায়নি। রেফারি নিজের সিদ্ধান্তও বদলাননি।
ম্যাচের দু'টি গোলই ফের্নান্দেসের পক্ষেই দেওয়া হয়। পর্তুগালও জিতে যায়। কিন্তু পর্তুগিজ তারকা গোল না পেয়ে খুশি হতে পারেননি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও সেটাই স্পষ্ট। স্পেনের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পর্তুগালের ফুটবল সংস্থা ফিফাকে প্রমাণ দেবে যে গোলটি ফের্নান্দেসের নয় রোনালদোর প্রাপ্য। সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে দাবি করছে সেই সংবাদমাধ্যম।
পর্তুগাল শিবিরে রোনালদো ও ফের্নান্দেসের সম্পর্ক নিয়ে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে যে দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক নাকি খুব একটা ভালো নয়। তাই উরুগুয়ের বিরুদ্ধে রোনালদোর বদলে ফের্নান্দেসের নামে গোল দেওয়ায় সত্যিই ক্ষোভ পুষে রেখেছেন কিনা সিআর৭, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল