বাংলাদেশকে হারিয়ে মাস সেরার দৌড়ে মেয়ার্স
কাইল মেয়ার্স নামটি শুনলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনে দুঃস্বপ্নই ফিরে আসার কথা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেই রেকর্ড বই এলোমেলো করে দেন। ইতিহাসগড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম টেস্টে একাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন মেয়ার্স। ২১০ রানের হার না মানা ইনিংসটি তাকে দারুণ স্বীকৃতি এনে দিতে পারে।
গত জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া 'আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ'- এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে ক্যারিবীয় এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের। ফেব্রুয়ারি মাসে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মেয়ার্সের সঙ্গে আছেন ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট।
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসটা ঝলমলে ছিল না মেয়ার্সের। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম ইনিংস ৪০ রান করেন মেয়ার্স। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে হয়ে ওঠেন জাদুকর। তার ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিয়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় উইন্ডিজ।
যদিও পরের টেস্টটি ভালো যায়নি মেয়ার্সের। মিরপুর টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন মাত্র ১১ রান (৫, ৬)। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে এই দুই ইনিংস কোনোই বাধা হয়নি। ইতিহাসগড়া ইনিংসের কারণে তাকে বিবেচনায় রেখেছে আইসিসি।
এই লড়াইয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ফ্রেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা তিন টেস্টেই ভারতকে পথ দেখিয়েছেন তিনি। প্রথম টেস্টে অশ্বিন নেন ম্যাচে ৯ উইকেট, রান করেন ৪০। দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন তিনি। তৃতীয় টেস্টে আহমেদাবাদে ৭ উইকেট নেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার।
জো রুট দারুণ এক ডাবল সেঞ্চুরি করে এই তালিকায় বিবেচিত হয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট ছিল ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের শততম টেস্ট। ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন তিনি। ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক খেলেন ২১৮ রানের ইনিংস।
মেয়েদের ক্রিকেটে ফেব্রুয়ারি মাস সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার ট্যামি বিউমন্ট, অলরাউন্ডার নাতালি শিভার ও নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ব্রুক হ্যালিডে।