বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাগ্য বদলাতে আসছেন ‘মি. ইন্টারফেয়ারার’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের যেকোনো সিদ্ধান্তে বিশেষ ভূমিকা থাকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত তাঁকে ছাড়া নেয়া হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে এমন নজির নেই বললেই চলে। একটা সময় এটা রীতিমতো মহামারি আকার ধারণ করেছিল। স্কোয়াড গঠন থেকে শুরু করে একাদশ বাছাই, টসে জিতে কী নিতে হবে, সেটাও বলে দিতেন নাজমুল হাসান।
এ নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি বিসিবি সভাপতিকে। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালেখি তো হতোই, সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে নাজমুল হাসানকে নিয়ে ট্রলের শেষ ছিল না। তাঁর নাম হয়ে গিয়েছিল মি. ইন্টারফেয়ারার। সবকিছুতেই তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার ব্যাপারটি দলের জন্য হয়ে উঠেছিল এক ধরনের আতঙ্ক।
বিসিবি সভাপতির দাবি অনুসারে গত কয়েক মাসে সেই জায়গা থেকে দূরে ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই কর্তা। যে কারণে আবারও পুরনো রূপে ‘মি. ইন্টারফেয়ারার’ নামে হাজির হতে চান তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘উন্নতিতে’ এমন অপবাদ নিতে সমস্যা নেই তাঁর। এমনকি এই নামটা খুব একটা অপছন্দও নয় বিসিবি সভাপতির। বিশ্বজয়ী যুব দলকে মিরপুর স্টেডিয়ামে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন মন্তব্য করেন নাজমুল হাসান।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘গত বিশ্বকাপের পর থেকে আমি সেভাবে হস্তক্ষেপ করিনি। বিশেষ করে ভারত সিরিজ থেকে টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্তে আমি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম না। আর এখন আমাকে বলা হয় উল্টোটা। যদি আমাকে বলে টসে জিতে ব্যাটিং নেবে, পরে দেখি বোলিং নিয়েছে। এসব ব্যাপার আমি বুঝতে পারছি না। দলের পারপরম্যান্সও নিম্নগামী।’
এ কারণেই পুরনো অবস্থানে ফিরতে চান বিসিবি সভাপতি। তার ভাষায়, ‘মনে হচ্ছে আমাকে আবার আগের জায়গায় ফিরতে হবে। সব তদারকি করতে হবে। যেটা করার কারণে আমাকে আপনারা নাম দিয়েছিলেন মি. ইন্টারফেয়ারার। আমি তো সেসব পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। কিন্তু এখন আমাকে আবার সেই হস্তক্ষেপের জায়গায়ই ফিরতে হবে। কিছু করার নেই।’
কী কারণে সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করতেন, সেই কারণও জানিয়েছেন নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ‘২০১৬ যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টস টিভিতে দেখে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মেঘলা আবহাওয়ায় টস জিতে কেন ব্যাটিং নিয়েছে জানতে চাইলে অনেকেই বলেছিল, আরে ওরা পারবে না। ওই দিনই বুঝেছি এভাবে হবে না, নজর রাখতে হবে। তারপর থেকেই সবকিছু তদারকি করতাম।’