বার্সার মাঠে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এল ক্লাসিকো কেন এতো রোমাঞ্চকর, তা শুরুতেই বোঝা গেল। দর্শকবিহীন ক্যাম্পে ন্যুতে শুরু থেকেই কী তুমুল উত্তেজনা! ঘরের মাঠের দল বার্সেলোনা? তাতে কী! ৫ মিনিটের মাথায়ই রিয়াল মাদ্রিদের দাপুটে আক্রমণ। জালের ঠিকানা মিলল। বার্সাও তিন মিনিটে সমতায় ফিরলো। এরপর চললো রোমাঞ্চকর এক লড়াই, যেখানে রিয়ালের বিপক্ষে পেরে উঠলো না লিওনেল মেসির দল।
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হওয়া ম্যাচে সব আলো কেড়ে নিলেন সার্জিও রামোস, লুকা মদ্রিচরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠেই ৩-১ গোলের দারুণ এক জয় তুলে নিলো রিয়াল মাদ্রিদ। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম বার্সার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জিতল রিয়াল। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোতে ২-০ গোলে জিতেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা।
এই ম্যাচের আগে মানসিকভাবে পিছিয়েই ছিল রিয়াল। লা লিগায় কাদিসের বিপক্ষে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও হতাশা সঙ্গী হয় তাদের। শাখতার দোনেস্কের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে যায় রিয়াল। লা লিগায় বার্সেলোনা হারলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দেয় কাতালানরা। এ নিয়েও কম চিন্তা ছিল না রিয়ালের।
মাঠে নেমে অবশ্য চিন্তা দূর হতে সময় লাগেনি। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই রিয়ালকে আনন্দে ভাসান ফ্রেডেরিকো ভালভার্দে। করিম বেনজেমার কাছ থেকে পাস পেয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান ভালভার্দে। বার্সাও বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকেনি। অষ্টম মিনিটে জর্দি আলবার ক্রস থেকে বল পেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত শটে বল জালে জড়ান বার্সার ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি।
ম্যাচে সমতা ফেরার পর চলতে থাকে সমানে সমান লড়াই। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষ শিবিরকে ব্যস্ত করে রাখে দুই দল। তবে প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রিয়ালের রক্ষণভাগের সেরা সেনানী সার্জিও রামোস। আর ৯০তম মিনিটে দারুণ এক গোল করে বার্সার ম্যাচে ফেরার সব সম্ভাবনা শেষ করে দেন লুকা মদ্রিচ।
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো হারে লা লিগায় বার্সার ব্যর্থতার ঝুলিতে জমা হলো টানা দুই হার। এই হারে পয়েন্ট টেবিলে আরও পিছিয়ে গেছে মেসি-গ্রিজম্যানদের দল। ৫ মাচে ২ জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১২ নম্বরে বার্সেলোনা। অন্যদিকে রিয়াল উঠে গেছে শীর্ষে। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ১৩ পয়েন্ট লস ব্লাঙ্কোসদের।