বিদেশের মাটিতে ভরসা হবেন হাসান মাহমুদ
মসৃণ বোলিং অ্যাকশনের পাশাপাশি দারুণ গতি। আছে বাড়তি বাউন্স ছাড়াও বল স্কিড করানোর দক্ষতা। সব মিলিয়ে হাসান মাহমুদকে নিয়ে বিরাট স্বপ্ন বাংলাদেশের। স্বপ্নযাত্রার শুরুটা ঝলমলেই হয়েছে ডানহাতি তরুণ এই পেসারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নেন হাসান। ঝলমলে অভিষের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একাদশে জায়গা হয় তার।
যদিও এই ম্যাচটি ভালো যায়নি হাসানের। এই ম্যাচে একটু খরুচে ছিলেন তিনি। ৯ ওভারে ৫৪ রান খরচায় একটি উইকেট নেন ২১ বছর বয়সী এই পেসার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অনুজ্জ্বল থাকায় সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তাকে দর্শক সারিতে থাকতে হয়। যদিও হাসানের ওপর থেকে আস্থা টলেনি বিসিবির নির্বাচকদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টের চূড়ান্ত স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে হাসানকে। দলের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হোক আর না হোক, তাকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বিসিবির। গতি আর বাউন্স বিবেচনায় বিদেশের মাটিতে হাসান মাহমুদকে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশারের মতে, বিদেশের মাটিতে হাসানের মতো পেসার বাংলাদেশের খুব দরকার। তরুণ এই পেসারের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন তিনি। হাবিবুল বাশার বলেন, 'খুব বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কিন্তু এই ছেলেটা খেলেনি। কিন্তু পরিণত হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে। আমাদের জন্য খুব ভালো একটা মেধা।'
'আমরা মনে করি হাসান মাহমুদের কাছে আমরা অনেক ভালো কিছু আশা করতে পারি। বিশেষ করে আমরা যখন দেশের বাইরে খেলতে যাই, এমন ধরনের পেসার আমাদের খুব দরকার, যাদের বলে বাড়তি পেস থাকে। তার খুব ভালো একটা ভবিষ্যত আছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ ক্রিকেট তার কাছ থেকে সাদা ও লাল বল; সব ফরম্যাটেই ভালো সার্ভিস পাবে।' যোগ করেন হাবিবুল বাশার।
টেস্ট স্কোয়াডে আছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকেও দলের সঙ্গে রেখে পরিচর্যা করছে বিসিবি। হাসান-রাব্বিদের মতো ক্রিকেটারদের জন্য এই সিরিজটি বড় সুযোগ কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুল বাশার বলেন, 'দুজনের জন্যই ভালো সুযোগ। যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে তাদের খেলাবে, তাহলে তাদের নতুন ক্যারিয়ার শুরু হবে।'
একাদশে সুযোগ না পেলেও হতাশ হওয়ার কিছু দেখছেন না হাবিবুল বাশার, 'আর যদি একাদশে না থাকে, তাহলেও তারা নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাবে। কারণ পরবর্তীতে যখন তারা সুযোগ পাবে, তখন যেন তাদের কাছে পরিবেশটা নতুন মনে না হয়। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই স্কোয়াডটা বড় করা হয়েছে। যারা খেলার সুযোগ পাবে না, তারা যেন দলের সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে।'