বিশ্বমানের হওয়ার মিশনে তাসকিন
লকডাউনে অনুশীলনের সুযোগ ছিল না। বেশিরভাগ ক্রিকেটার বাসাতেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন। এখানে কিছুটা ব্যতিক্রম তাসকিন আহমেদ। বাসায় ফিটনেসের বেসিক কাজগুলো করলেও মূল কাজ সারতে রাস্তা ও খোলা মাঠকে বেছে নিয়েছিলেন জাতীয় দলের এই পেসার। রানিংসহ ফিটনেসের আরও কার্যকরী কিছু কাজ করে লকডাউন পার করেছেন তিনি।
৫ কেজি ওজন কমেছে তাসকিনের। অন্যান্য দিক বিবেচনাতেও ফিটনেসে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছেন তিনি। যা কাজে দিচ্ছে তার বোলিংয়েও। পেস, জিম পজিশন নিয়ে কাজ করা তাসকিন নিজের বোলিংয়ে অনেকটাই সন্তুষ্ট। তবে তৃপ্ত হচ্ছেন না তিনি। বিশ্বমানের হতে, আরও ভালোর আশায় চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন তাসকিন।
দলীয় অনুশীলনের বেশ আগে থেকেই বোলিং করে আসছেন ডানহাতি এই পেসার। পেস, সিম পজিশন নিয়ে কাজ করে ফলও পাচ্ছেন তিনি। নেটে গতির সঙ্গে বৈচিত্র্যতা নিয়ে বোলিং করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। তাসকিনের বল খেলতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে লিটন, মুমিনুলদের মতো ব্যাটসম্যানদেরও।
মঙ্গলবার অনুশীলনের পর তাসকিন বলেন, 'আগের থেকে ভালো ছন্দ এসেছে, ভালো লাগছে, স্বস্তিদায়ক। পেস, সিম পজিশন এসব নিয়ে কাজ করছি কোচদের সাথে। আগের থেকে অনেক উন্নতি হচ্ছে, সুস্থ থাকলে সামনে আরও উন্নতি হবে। অ্যাকুরেসি, পেস, সিম পজিশনে আরও ভালো ছন্দ পাব আল্লাহ যদি সুস্থ রাখেন।'
ভালো ছন্দ পাওয়ায় গা ছেড়ে দিচ্ছেন না তাসকিন, বিশ্বমানের হতে আরও কঠোর পরিশ্রমের কথা বলছেন তিনি, 'ফিটনেস আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। আসলে উন্নতির শেষ নাই। বিশ্বমানের হতে হলে, আরও ধারাবাহিক হতে হলে কঠোর পরিশ্রম সব সময় করে যেতে হবে। এখনই শেষ নয়, সামনে আরও ভালো কিছু হবে আশা করছি। আমি আমার চেষ্টা অব্যাহত রাখব, ভবিষ্যতে যেন আরও ভালো করতে পারি, সেই চেষ্টা করব।'
কেবল বোলিংয়েই নয়, টেল এন্ডার হিসেবে ব্যাট হাতেও দলের জন্য অবদান রাখতে চান তাসকিন। বাংলাদেশ পেসার বলেন, 'আজ আমাদের সব বোলারদের ব্যাটিং সেশন ছিল, উপভোগ করেছি। যদিও নেটে বোলার ও থ্রোয়াররা কঠিন সময় দিচ্ছিল। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলো নেওয়া শিখতে হবে। কারণ টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের সাপোর্ট দিতে হলে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমরাও চেষ্টা করছি, আগের থেকে উন্নতি হচ্ছে। আশা করি সামনে টেল এন্ডাররা আরও ভালো করবে।'
জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে একক অনুশীলনে যোগ দেন তাসকিন। তবে দলীয় অনুশীলনে বেশি ভালো লাগা কাজ করছে তার মধ্যে, 'অনেকদিন পর সবাই একত্রিত হয়ে ট্রেনিং করতে পেরে ভালো লাগছে। অনেকদিন পর একসাথে ড্রেসিং রুম, টিম বাস শেয়ার, সবাই একত্রিত হয়ে অনুশীলন শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে।'