বিসিবির আয়োজনে সন্তুষ্ট উইন্ডিজের পর্যবেক্ষক দল
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। এরআগে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাইয়ে দুই সদস্যের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। দুই ভেন্যু মিরপুর ও চট্টগ্রাম, হোটেল, হাসপাতাল ও অনুশীলনের ভেন্যু পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা।
নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলের সদস্য দুজন হলেন ড. আকশাই মানসিং এবং পল স্লোওয়ে। আকসাই মানসিং আইসিসি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেডিকেল দলের সদস্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকও তিনি। পল স্লোওয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিকিউরিটি এবং সেফটি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, একাডেমি মাঠ ও ইনডোর ঘুরে দেখার পর বিসিবির করোনাভাইরাস প্রটোকল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান উইন্ডিজ পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা।
আকসাই মানসিং বলেন, 'বিসিবি আমাদেরকে প্রোটোকল নিয়ে যে বর্ণনা দিয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত গভীর চিন্তার পরিচয় দেয়। যেহেতু আমাদের আসার আগে তাদের তিনটি টুর্নামেন্ট হয়েছে এবং একটি হচ্ছে, সুতরাং তারা অভ্যস্ত। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা যা দেখেছি, তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখানে সুযোগ-সুবিধা দারুণ, কোভিড প্রোটোকল অত্যন্ত স্পষ্ট এবং নিখুঁত।'
'যে হাসপাতাল এবং হোটেলগুলোয় আমরা গিয়েছি, সেগুলোর পরিবেশ ও কোভিড-১৯ এর জন্য সুপারিশ করা বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, স্বাস্থ্যগত দিক থেকে আমরা খুবই খুশি। এখন আমাদেরকে আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ড অফ ডাইরেক্টরসের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা যা দেখেছি, তা বিশ্বের যেকোনো জায়গার আয়োজনের চেয়ে কম নয়। এখন পর্যন্ত আমরা খুবই খুশি।' যোগ করেন তিনি।
কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে মানসিং বলেন, 'কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা এখনও নির্দিষ্ট নয়। কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী কমপক্ষে সাত দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। কারণ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যেন বাংলাদেশকে আক্রান্ত না করি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যেন কোয়ারেন্টিনে থাকি। স্রেফ দিন নয়, তিনটি নেগেটিভ টেস্ট ফল আসতে হবে। বাংলাদেশে আসার আগে একটি নেগেটিভ টেস্ট হতে হবে। সে জন্যই সিরিজের নিশ্চিত তারিখ বলা যাচ্ছে না।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিকিউরিটি এবং সেফটি ম্যানেজার পল স্লোওয়ে বলেন, 'আমাদের কাছে উপস্থাপন করা নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবং করোনা প্রোটোকলগুলো খুবই সন্তোষজনক। পরিকল্পনাগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে, সেভাবে প্রয়োগ করা হলে কোনো ধরনের অপ্রিয় ঘটনা ঘটবে না। আমি পুরো আয়োজন নিয়ে খুবই খুশি। এয়ারপোর্ট, হোটেল, প্র্যাকটিস ভেন্যু থেকে ম্যাচের ভেন্যু সবকিছু নিয়ে খুশি।'
আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের। আইসিসির ভবিষ্যত সূচি পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওয়ানডে সিরিজেও তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দল দুটি।