মাশরাফির সতীর্থ হয়ে রোমাঞ্চিত তরুণ ক্রিকেটাররা
একসঙ্গে জাতীয় দলেই খেলছেন, তবু আদর্শের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে এমন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, যাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। এমন একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছেন বলে রোমাঞ্চিত নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশের এই দুই তরুণ ক্রিকেটার প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন। জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়াানডের স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে নাঈম ও আফিফকে। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়ার উচ্ছ্বাস তো আছেই, সতীর্থ মাশরাফির সঙ্গে খেলার রোমাঞ্চও তাদের ছুঁয়ে যাচ্ছে।
মাশরাফির সঙ্গে খেলতে পারা বা একই দলে থাকাটা নাঈমের কাছে রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার। চার মাস আগে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলছেন, 'ভাগ্যবান আমি, মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে খেলতে পারছি।'
মাশরাফির সতীর্থ হয়ে যাওয়া নাঈম অবশ্য এতকিছু চিন্তা করে ক্রিকেট খেলেননি। অনেক দূরে দৃষ্টি না দিয়ে সামনের সিঁড়িতেই সব সময় চোখ রেখেছেন তিনি 'এতকিছু তো স্বপ্ন দেখতাম না। জাতীয় দলে খেলব, এতো কিছু চিন্তাও করতাম না। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই ধাপে ধাপে চিন্তা করেছি, কীভাবে খেলা উচিত।'
প্রথমবারের মতো ডাক পড়লেও কোনো চাপ অনুভব করছেন না তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। তার মতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো দলই গঠন করা হয়েছে। সঙ্গে মাশরাফির ফেরা দলকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করেছে।
সব্যসাচী এই ক্রিকেটার (বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি বোলার) বলেন, 'বাড়তি চাপ কাজ করে না। আমাদের দল ভালো দল। মাশরাফি ভাইও ফিরেছেন। সব মিলিয়ে আমাদের খেলা খেলতে পারলে ভালোই হবে।'
নাঈম ও আফিফ; দুজনেরই বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয়েছে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। জাতীয় দলের হয়ে ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলা আফিফের অভিষেক হয় ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাঈমের অভিষেক হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে।