মুমিনুলের দারুণ সেঞ্চুরির দিনে মুশফিকের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি
বেশ আগেই তার গায়ের সাথে লেগে গেছে টেস্ট ক্রিকেটারের ট্যাগ। সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেটা আরও পোক্ত হয়েছে। কেবল টেস্টেই বিবেচনা করা হয় মুমিনুল হককে। টেস্টের নেতৃত্বে থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের অবশ্য অভিযোগ নেই, মন লাগিয়ে সাদা পোশাকে খেলে আসছেন। তবে একদিনের ম্যাচে 'এ' দলের হয়ে হাই পারফরম্যান্সের (এইচপি) বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ফেরার দাবিটা ভালোভাবেই জানিয়ে রাখলেন মুমিনুল।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশের হয়ে শেষ ওয়ানডে খেলা মুমিনুল হক বৃহস্পতিবার ১২১ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় খেলেছেন ১২৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে 'এ' দলের খেলা মুশফিকুর রহিম এদিন ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৫৩ বলে ৬৩ রান করেন। আগের ম্যাচে মুশফিক খেলেন ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে অধিনায়ক মুমিনুল, মুশফিক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে 'এ' দল। বড় সংগ্রহ গড়ে ৩০ রানের জয় পেয়েছে তারা। বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরুর পরও এইচপির ইনিংস শেষ হয় ২৯২ রানে।
আগে ব্যাটিং করা 'এ' দল উদ্বোধনী জুটি থেকেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায়। মুমিনুল-শান্ত মিলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন। শান্ত ৬৭ রান করে থামলেও আরও অনেকটা সময় ব্যাটিং করেন সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল। এরপর মুশফিকের ব্যাটে এগিয়ে যায় তারা। জাতীয় দলের এই ব্যাটিং কাণ্ডারি ৫৩ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংসটি সাজান। মোহাম্মদ মিঠুন ২৫ ও ইরফান শুক্কুর ২১ রান করেন। এইচপির ডানহাতি পেসার রেজাউর রহমান সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন।
জবাবে দারুণ শুরু করে এইচপিও। উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই ক্রিকেটার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ৫৮ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৭ রান করে আউট হন ইমন। তানজিদ ১০২ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৬ রান করেন। এ ছাড়া তৌহিদ হৃদয় ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রিজার্ভ হিসেবে থাকা রুবেল হোসেন খরুচে ছিলেন। ১০ ওভারে ৬৯ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও কামরুল ইসলাম।