ম্যাচের আগে হঠাৎ সরে দাঁড়ালেন ডি কক
হারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে প্রোটিয়ারা। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে বড় ধাক্কাই খেতে হয়েছে দলটিকে। ম্যাচ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত কারণে এই ম্যাচে খেলছেন না উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।
তার খেলার কথা ছিল, কিন্তু টসের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা জানান, ডি কককে ছাড়াই মাঠে নামতে যাচ্ছেন তারা। প্রোটিয়া অধিনায়ক জানান, ব্যক্তিগত কারণে ডি কক নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
টসের পর ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একটি নির্দেশিকা দেয়। যেখানে বলা হয়, বিশ্বকাপের বাকি সব ম্যাচ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে বাধ্যতামূলকভাবে হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানাতে হবে। বোর্ডের এই নির্দেশিকার সঙ্গে ডি ককের না খেলার সম্পর্ক আছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত বছর 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (বিএলএম)' আন্দোলন শুরুর পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ অনেক দল হাঁটু গেড়ে সংহতি জানিয়ে আসছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলও বর্ণবাদবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তারা কখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদ জানায়নি।
গত জুলাইয়ে দেশের মাঠে তিন দলের প্রদর্শনী ক্রিকেট 'সলিডারিটি' কাপের আগে সব ক্রিকেটার, কর্মকর্তা, কোচরা হাঁটু গেড়ে বসার পথ বেছে নিয়েছিলেন। এর আগে গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের আগে হাত উঁচিয়ে সংহতি জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা দল।
তখন বলা হয়েছিল, দলের কে হাঁটু গেড়ে বসবে বা কে হাত তুলবে বা অন্য কিছু করবে, এটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সে সময় দলের অনেক ক্রিকেটার হাঁটু গেড়ে বসেন, কেউ হাত উঁচিয়ে ধরেন, কেউ আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সংহতি জানান। ডি কক তখন কোনোটিই করেননি।
তবে বিশ্বকাপে দলকে বাধ্যতামূলকভাবে হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় আজ। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিএলএমের সমর্থনে দলের সদস্যরা বিভিন্ন পথ বেছে নেওয়ায় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও এই উদ্যোগে যথেষ্ট সমর্থন না থাকা কিংবা বিভেদের একটি ধারণার জন্ম দিয়েছে।'
'ক্রিকেটারদের অবস্থানসহ প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে বোর্ডের মনে হয়েছে যে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দলের একতাবদ্ধ ও ধারাবাহিক অবস্থান নেওয়া জরুরি, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস বিবেচনা করে। বিশ্বকাপের অন্য অনেক দলই এই ইস্যুতে পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছে। বোর্ডের মনে হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকারও একইরকম করা উচিত।'