যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ
ফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরে যোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় বসছে যুব বিশ্বকাপের আসর।
সেখানকার বাউন্সি উইকেটের সাথে খাপ খাওয়াতে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ২০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছে পুরো দল। ৪ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ক্যাম্পটি শেষ হয় ২৪ ডিসেম্বর। ২২ ক্রিকেটার নিয়ে ক্যাম্প চললেও এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে ১৫ সদস্যের দল।
বগুড়ায় কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সেখানকার উইকেটে খেলার কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে প্রাথমিক লক্ষ্য নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা।
দলটির নির্বাচক হিসেবে আছেন একসময়কার জাতীয় দলের প্রধান পেসার হাসিবুল হোসেন শান্ত। বগুড়ায় কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বললেন “সাউথ আফ্রিকায় যে ধরণের উইকেটে খেলা হবে, বাংলাদেশে সেরকম উইকেট পাওয়া কষ্টকর। তবে, বগুড়ার এই উইকেটটির সঙ্গে কিছুটা সামঞ্জস্য আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তাই আমরা এই ভেন্যুটিকে বেছে নিয়েছি। এখানে ক্যাম্প করে গেলে ছেলেদের সমস্যা হওয়ার কথা না।”
তিনি মনে করেন বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক এই দলটি অনেক ভালো। “এর আগে দেশের মাটিতে খুব কাছে গিয়ে আমরা ফাইনাল খেলতে পারিনি। তবে, এবারে সেরকম হবে না আশা করছি”, বললেন তিনি।
যুব বিশ্বকাপে সি গ্রুপে বাংলাদেশ। জুনিয়র টাইগারদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিজেদেরকেই ফেবারিট মানছেন হৃদয়-তামিমরা। তবে, কাউকে ছোট করে দেখতে চান না তারা। শুরুতে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনোর পরিকল্পনা তাদের।
দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান আকবর আলী বললেন, “এখানে আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। ওখানে গিয়েও ১০ দিনের ক্যাম্প করব। আশা করছি মানিয়ে নিতে পারব। কেননা এর আগেও আমরা বিভিন্ন কন্ডিশনে খেলে এসেছি।”
ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম জানালেন তাদের লক্ষ্যের কথা। “আমাদের গ্রুপে পাকিস্তানকে আমরা সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে করছি। তবে, অন্য দলগুলোকেও ছোট করে দেখলে চলবে না। ক্রিকেটে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে চাই। এখনই বড় কোনো টার্গেট নিচ্ছি না।”
শিষ্যদের ওপর আস্থা আছে কোচ নাভিদ নেওয়াজের। ফাইনাল খেলার সামর্থ্য যে আছে ছেলেদের তা ভালোভাবেই জানা আছে এই লঙ্কানের। তবে, শিষ্যদের মতো তিনিও শুরুতেই দৃষ্টি প্রসারিত করতে নারাজ। “আপাতত নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে চাই। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটো দল যাবে। পাকিস্তানকে হারাতে হবে। স্কটল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ের বয়সভিত্তিক দলও বেশ শক্তিশালী। তাই প্রতিটি ম্যাচে নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ছেলেরা খুব ভাল শেইপে আছে”।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন খেলা হবে, তখন সেখানে গ্রীষ্মকাল। তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতে ক্যাম্প করে ওখানে মানিয়ে নিতেও সমস্যা হবে না মনে করছেন কোচ। “ ওখানকার যে তাপমাত্রা, তাতে বাংলাদেশের মানুষ খুব অভ্যস্ত। ছেলেরা প্রায় সারা বছরই এই তাপমাত্রায় খেলা। মানানোটা কঠিন হবে না”।
যুব বিশ্বকাপে অংশ নিতে ৪ জানুয়ারি সাউথ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের।