রাহি-তাইজুলে ২৬৫ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে
দ্বিতীয় দিন সকালে তেমন বেগ পোহাতে হলো না বাংলাদেশকে। জিম্বাবুয়ের বাকি চার উইকেট তুলে নিতে বাংলাদেশকে খরচা করতে হয়েছে ১৬.৩ ওভার। সময় লেগেছে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট। আবু জায়েদ রাহি ও তাইজুল ইসলাম মিলে সফরকারীদের চার উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ২৬৫ রানে। এদিন ৩৭ রান যোগ করেছে সফরকারীরা।
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও রাহির হাত ধরে। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড টিরিপানোকে ফেরাতে সময় নেননি বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার। ৮ রানেই টিরিপানোকে থামান তিনি। দুই ওভার পর এইন্সলে এনডিলোভুকেও সাজঘর দেখিয়ে দেন রাহি।
চাপে পড়ে যাওয়া প্রতিপক্ষকে গুছিয়ে উঠতে দেননি তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার ফিরিয়ে দেন চার্লটন টিসুমাকে। শেষ উইকেটে অবশ্য রেজিস চাকাভা একটু ভুগিয়েছেন। তাকে বিদায় করতে কয়েকজন বোলারকে ব্যবহার করতে হয় অধিনায়ক মুমিনুল হককে।
শেষপর্যন্ত ৩০ রান করা চাকাভাকে ফেরান তাইজুল। রাহি ও নাঈম ৪টি এবং তাইজুল ২টি উইকেট নেন। এবাদত হোসেন উইকেটশূন্য থেকে গেছেন। ৭১ রানে নেওয়া ৪ উইকেটই রাহির টেস্ট ক্যারিয়ারের ইনিংস সেরা বোলিং।
আগের দিন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। টেস্ট মেজাজে অতি সাবধানি শুরু করেও সুবিধা করতে পারেনি ক্রেইগ আরভিনের দল। দলীয় ৭ রানেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহি। জিম্বাবুয়ের ওপেনার কেভিন কাসুজাকে ফিরিয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার।
দারুণ শুরু পেয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। রাহির কণ্ঠে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বাকি বোলাররা। শুরুতেই উইকেট হারানোর চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন আরেক ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে ও অধিনায়ক আরভিন।
এই জুটিতে ছন্দ পেয়ে যায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় উইকেটে ১১১ রানের জুটি গড়ে তোলেন মাসভাউরে ও আরভিন। দলীয় ১১৮ রানে গিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন স্পিনার নাঈম হাসান। ৬৪ রান করা মাসভাউরেকে থামান তিনি।
দ্বিতীয় উইকেট নেয়ার পর বল হাতে শাসন করতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিছুক্ষণ পরই ব্রেন্ডন টেলরকে সাজঘর দেখিয়ে দেন দিনের সেরা বোলার নাঈম। এরপর সিকান্দার রাজাকেও উইকেটে টিকতে দেননি ডানহাতি তরুণ এই অফ স্পিনার। ১৮ রান করা সিকান্দারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাঈম।
অন্যপাশে ভাঙনের সুর বাজতে থাকলেও তাতে কান দেননি আরভিন। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক খেলে গেছেন ধীর-স্থির মাথায়। টিমিসেন মারুমাও অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে পারেননি। আবু জায়েদ রাহির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি।
দিনের খেলার বাকি তখন ১০ বল। মনে হচ্ছিল রেজিস চাকাভাকে নিয়ে দিন শেষ করে ফেলবেন আরভিন। কিন্তু নাঈম সেটা হতে দেননি। দারুণ এক ডেলিভারিতে আরভিনকে পরাস্থ করেন তরুণ এই স্পিনার। ২২৭ বলে ১৩টি চারে ১০৭ রান করেন আরভিন। নাঈম ৪টি ও রাহি ২টি উইকেট নেন।
এদিন বাংলাদেশের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাঈম। প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে তাকেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল। এক স্পেলেই টানা ৩২ ওভার বোলিং করেছেন নাঈম।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫/১০ (আরভিন ১০৭, মাসভাউরে ৬৪; রাহি ৪/৭১, নাঈম ৪/৭০, তাইজুল ২/৯০)।