রুদ্ধশ্বাস লড়াই আর গোল উৎসবের পর শেষ আটে স্পেন
গোলরক্ষকের ভুলে স্পেনই শুরুতে পিছিয়ে পড়লো। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ লিড নিয়ে নিলো লুইস এনরিকের শিষ্যরা। রোমাঞ্চ ঠাসা ম্যাচে এই স্কোরও টিকলো না। শেষের দিকে গিয়ে ৭ মিনিটে দুই গোল দিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। এখানে অবশ্য আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্বকাপের রানার্স আপরা। রুদ্ধশ্বাস লড়াই আর গোল উৎসব শেষে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে স্পেন।
সোমবার শেষ ষোলোর ম্যাচে কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে স্পেন। নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন ৩-৩ ছিল। অতিরিক্ত সময়ে দাপট দেখিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ইউরোর তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
স্পেনের হয়ে গোল করেন পাবলো সারাবিয়া, সিজার আসপিলিকুয়েতা, ফেরান তোরেস, আলভারো মোরাতা ও মাইকেল ওয়ারজাবাল। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোল করেন মিসলাভ ওরসিক ও মারিও পালাসিক। গোলরক্ষক উনাই সিমনের ভুলে প্রথম গোলটি হজম করতে হয় স্পেনকে।
প্রথমার্ধে সমানে সমান লড়াই হলেও ক্রমেই ম্যাচের দখল নিয়ে নিতে থাকে স্পেন। পুরো ম্যাচে ৬৮ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে তারা। অবিরত আক্রমণে ক্রোয়েশিয়াকে পাগল করে তোলা স্পেন গোলমুখে ২৩টি শট নেয়, এর মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। ক্রোয়েশিয়ার নেওয়া ১২ শটের ৭টি ছিল লক্ষ্যে।
২০০৮ ও ২০১২ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন গত আসরে বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলো থেকে। এবার সেই বাধা পেরিয়ে শেষ আটের টিকেট কাটলো তারা। অন্যদিকে দারুণ খেলেও ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার আক্ষেপ বাড়ল ক্রোয়েশিয়ার। এই টুর্নামেন্টে দলটি শেষবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে ২০০৮ সালে।
ম্যাচের ২০ মিনিটেই এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। স্পেন গোলরক্ষক সিমোনের হাস্যকর এক ভুলে লিড পায় তারা। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের লং ব্যাক পাস ধরতে পারেননি সিমন। ম্যাচে ফিরতে দেরি করেনি স্পেন। ৩৮ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার গোলে ম্যাচে সমতা আসে ১-১ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার যেন আরও বাড়ে স্পেনের। ৫৭ মিনিটে সিজার সিজার আসপিলিকুয়েতার গোলে লিড নেয় এনরিক শিবির। ৭৬ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নিজেদের করে নেয় স্পেন। দলের স্কোর লাইন ৩-১ করেন ফেরান তোরেস।
তখস হার দেখছে ক্রোয়েশিয়া, ম্যাচের বাকি মাত্র কয়েক মিনিট। এমন সময়ে জ্বলে ওঠেন মদ্রিচ-পালাসিকরা। ৮৫ মিনিটে মিসলাভ ওরসিকের গোলে ব্যবধান কমে আসে ৩-২ এ। যোগ করা সময়ে চমক দেখান মারিও পাসালিক। তার গোলে স্কোর ৩-৩ হয়।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে স্পেন বেশি আধিপত্য দেখিয়েছে। ১০০ মিনিটে আলভারো মোরাতার গোল। এগিয়ে যায় স্পেন। এর মিনিট তিনেক পর স্পেনের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন মিকেল ওয়ারজাবাল। শেষের দিকে বেশ কটি আক্রমণ করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু জালের দেখা মেলেনি।