শীর্ষে ভারত, পয়েন্ট হারিয়েও ৯ নম্বরে বাংলাদেশ
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে রোমাঞ্চকর এক সিরিজ জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে আগামী মাসে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলির দল। টেস্টের এক নম্বর দল হিসেবে ফাইনাল খেলতে যাবে ভারত।
আগে থেকেই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে ছিল ভারত। তবে আইসিসির বার্ষিক হালনাগাদে ভারত-নিউজিল্যান্ডের লড়াই জমেছে বেশ। দুই নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ড মাত্র এক রেটিং পয়েন্টে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে। হালনাগাদে এক রেটিং পয়েন্ট বেড়ে ভারতের পয়েন্ট এখন ১২১। দুই রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে নিউজিল্যান্ডের, তাদের পয়েন্ট ১২০।
এই হালনাগাদে ২০১৭-১৮ মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়নি। গত বছরের মে থেকে এখন পর্যন্ত শতভাগ পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হয়েছে ৫০ ভাগ।
টেস্টের ফলের মতো র্যাঙ্কিংয়েও হতাশা মিলেছে বাংলাদেশের। ৫ রেটিং পয়েন্ট হারাতে হয়েছে মুমিনুল হকের দলকে। যদিও এটা র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলেনি, বাংলাদেশ ৯ নম্বরেই আছে। বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৪৬। ১০ নম্বরে থাকা জিম্বাবুয়ের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে। ৮ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তাদের পয়েন্ট এখন ৩৫।
আইসিসির বিবেচিত সময়ে টেস্টে বলার মতো কিছুই ছিল না বাংলাদেশ দলের। শেষ এক বছরে ৪ টেস্টের তিনটিতেই হেরেছে মুমিনুলের দল। এর আগের দুই বছরে ১৩ টেস্টের ৯টি ম্যাচেই হার মানে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ছিল ঘরের মাঠেই টেস্টের নবীন সদস্য আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার। বিবেচনায় নেওয়া সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জয়টি ৪টি, দুটি ওয়েস্ট ও দুটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। চারটি জয়ই ঘরের মাঠে।
তিন রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ইংল্যান্ডের। ১০৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ক্রিকেটের জনক দেশটি। অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে পাঁচ পয়েন্ট, ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে অজিরা। ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে পাকিস্তান। এই হালনাগাদে সবচেয়ে এগিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আট নম্বর থেকে ছয় নম্বরে উঠে গেছে তারা। ২০১৩ সালের পর টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এটাই ক্যারিবীয়দের সেরা অবস্থান।