৫০০ ক্রীড়াবিদকে বিসিবির আর্থিক সহায়তা
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই দুস্থ-অসহায়দের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিছুদিন আগেই ঢাকার ৭৬টি ক্রিকেট ক্লাবের কর্মচারীদের (অফিস স্টাফ, টিম বয়, মাসাজম্যানসহ অন্যান্য কর্মচারী) খাদ্য সহায়তা দেয় বিসিবি। এবার আরও বড় পরিসরে সহযোগিতা করল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিভিন্ন খেলার ৫০১ জন অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিসিবি। প্রতি খেলোয়াড়কে ১০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। বুধবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে ১০ হাজার টাকার ৫০১টি চেক তুলে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
২৩ ফেডারেশনের খেলোয়াড়দের দেওয়া এই সহায়তা বাবদ বিসিবির খরচ হয়েছে ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা। বিসিবির আর্থিক সহায়তা ব্যাপারে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের ক্রীড়া বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও নির্দেশনা দিয়েছিলেন খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়াতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়দের সহযোগিতায় এগিয়ে আসায় আমি বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাহেবকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।'
জাহিদ আহসান রাসেল আরও বলেন, 'আমি সকল ফেডারেশন ও খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের মানবিক এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা ইতোমধ্যে খেলোয়াড়দের সহায়তা করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করেছি। উনারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আশা করছি, ঈদের পরে আমরা আরও অধিক সংখ্যক খেলোয়াড়কে সহযোগিতা করতে পারব।'
বিসিবির দেওয়া ১০ হাজার টাকার চেক সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) দেওয়া হয়েছে। ১০০টি চেক দেওয়া হয়েছে বাফুফেকে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০টি চেক হকি ফেডারেশনকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টেনিস, বক্সিং, সাঁতার, আর্চারিসহ আরও ২০টি ফেডারেশনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলছে না। দুই মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু ঘরবন্দি অবস্থাতেই সময় পার করতে হচ্ছে সবাইকে। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন কয়েক'শ করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হতো, এখন সেটা হাজারের নিচে নামছেই না। বুধবার ১ হাজার ৬১৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ জন।
এই অবস্থায় সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার তেমন সুযোগ নেই। অন্য সব জায়গার মতো সব ধরনের খেলাধুলাই বন্ধ আছে। এতে বিভিন্ন খেলার অনেক খেলোয়াড় উপার্জনের পথ হারিয়েছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিসিবির এই উদ্যোগ।