৬ গোলের ম্যাচে জুভেন্টাসের হোঁচট
ম্যাচের শুরুতেই জুভেন্টাসের দাপট। ১২ মিনিটেই ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। মনে হচ্ছিল সাস্সুয়োলোর জালে গোলবন্যা বইয়ে দেবেন গঞ্জালো হিগুয়েন-আলেক্স সান্দ্রোরা। কিন্তু দৃশ্যপট পাল্টে যেতে সময় লাগেনি। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জুভেন্টাসকে রুখে দিয়েছে সিরি এ'র পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে থাকা সাস্সুয়োলো।
জুভেন্টাস ২ গোল দেওয়ার পর ম্যাচে আরও ৪টি গোল হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি গোল দিয়েছে সাস্সুয়োলো। ৬ গোলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। দারুণ শুরুর পরও পয়েন্ট ভাগাভাগি করে কিছুটা হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় রোনালদোদের। সিরি এ'তে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন থাকলো জুভেন্টাস।
যদিও এই ড্রয়ে খুব একটা ক্ষতি হয়নি শিরোপার পথে এগিয়ে যাওয়া জুভেন্টাসের। ৩৩ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। দুই নম্বরে থাকা আতালান্তার চেয়ে সাত পয়েন্টে এগিয়ে আছে জুভেন্টাস। সমান ৩৩ ম্যাচে আতালান্তার পয়েন্ট ৭০।
রেফারি ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজাতেই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হামলে পড়ে জুভেন্টাস। কয়েক মিনিটের মধ্যে গোলও মিলে যায়। ম্যাচের ৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জুভেন্টাসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো।
দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতেও সময় লাগেনি। ১২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন গঞ্জালো হিগুয়েন। শুরুতেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া সাস্সুয়োলো মুহূর্তেই যেন অন্য দলে পরিণত হয়। গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। ২৯ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান ফিলিপ দুরিসিচি। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জুভেন্টাসকে চেপে ধরে সাস্সুয়োলো। ৫১ মিনিটে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে গোল আদায় করে নেন ডমেনিকো বেরার্দি। সমতায় ফেরার তিন মিনিট পরই এগিয়ে যায় সাস্সুয়োলো। ৫৪ মিনিটে ফ্রান্সেসকা কাপুতো গোল করে লিড এনে দেন।
জুভেন্টাসও সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে গোল করে জুভেন্টাস শিবিরে স্বস্তি ফেরার আলেক্স সান্দ্রো। এরপর বাকিটা সময় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে কেটেছে, কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।