৯ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ, সাত দিনের কোয়ারেন্টিন
টানা ক্রিকেট খেলার মধ্যেই আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গত আগস্ট থেকে যে শুরু হয়েছে, এরপর থেকে ব্যস্ত সূচির মধ্যেই আছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পরও বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪-৮ ডিসেম্বর টেস্ট খেলে পরের দিনই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ৯ ডিসেম্বর সকালে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হলেও এবার কোয়ারেন্টিনের নিয়ম কিছু শিথিল করা হয়েছে। এবারের সফরে বাংলাদেশকে সাত দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। বৃহস্পতিবার এসব তথ্য দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে আগামী ১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ক্রাইস্টচার্চে ৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতার কারণে বাংলাদেশকে আগেই যেতে হচ্ছে। তিন দিনের আইসোলেশনসহ সাত দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনের সুযোগ পাবে মুমিনুল হকের দল। এই সময়ের মধ্যে তিনটি করোনা পরীক্ষা করা হবে তাদের।
সফর ও কোয়ারেন্টিন নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, 'আমাদের শেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে যে প্রটোকল ছিল, সেটা থেকে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তিন থেকে চার দিনের রুম কোয়ারেন্টিন করতে হবে। বাকি সময় ওদের যে কোয়ারেন্টিন সেন্টার, সেখানে থাকতে হবে তিন থেকে চার দিন। ফলে আমাদের কিছু বাড়তি সুযোগ এসেছে। দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে আমাদের দল। দুটি দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচ হবে। একটা নিজেদের মধ্যে, আরেকটা নিউজিল্যান্ড একাদশের সঙ্গে।'
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' নিয়ে খুব বেশি ভাবনা নেই বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'আমাদের দেশে তো স্বাভাবিকভাবে চলছে। ওটার প্রভাব সেভাবে পড়েনি। যদি সরকারের কাছ থেকে পরে কোনও নিষেধাজ্ঞা আসে বিদেশি দলের ভ্রমণের ব্যাপারে, তখন বিষয়টাকে হয়তো কিছু ফাইন টিউনিং করতে হবে।'
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গত ২০ বছরে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত জয় অধরাই রয়ে গেছে। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৯টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, হারতে হয়েছে সব কটিতে। এর মধ্যে ৫টিতেই ইনিংস হার, বাকি হারগুলোও ছোট নয়।