‘শ্রীলঙ্কার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে’
কোয়ারেন্টিন জটিলতায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের ভাগ্য অনিশ্চয়তার মুখে। বাংলাদেশকে সফরে নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। কোয়ারেন্টিনের সময় কমানোসহ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক নির্দেশনা শিথিল করতে নিজেদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে মানানোর চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দুই দফার কোয়ারেন্টিনের আবেদন করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। লঙ্কান বোর্ডের নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী দেশ থেকে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন করে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কাতে আরও ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে বাংলাদেশকে।
বিসিবির মতো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটও এখন অপেক্ষায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবেদনে সাড়া দিলে বিসিবিকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। যদিও শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আগের অবস্থানেই আছে। শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করার নির্দেশনা দিয়েছে তারা। এ ছাড়া নতুন এই প্রস্তাবে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বা বিসিবি; কেউই একমত হয়নি।
শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্ক কী জানায়, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। দুই-তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, 'নির্দিষ্টভাবে আমাদের এখান থেকে কিছু বলা কঠিন। কারণ উত্তরটা ওখান থেকে আসবে।'
'এটা তাদের জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। এমন না যে শুধু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সিদ্ধান্ত। সুতরাং তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। আমরা এখান থেকে চাপ দিলেও কাজ হবে না। তারা নিজেরাই জানাবে আমাদের। সেটারই অপেক্ষায় আছি, পরবর্তী দুই-তিনদিনের মধ্যে আসতে পারে সিদ্ধান্ত।'
শ্রীলঙ্কা সফরের ভাগ্য ঝুলে গেলেও বাংলাদেশের প্রস্তুতি আগের মতোই আছে বলে জানান তিনি। জালাল ইউনুস বলেন, 'আমরা প্রস্তুত। আগে যেমন প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল, তেমন প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছি। ইতিবাচক কোনো উত্তর এলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুতি নিতে পারব। দুই-এক দিন এদিক সেদিক হতে পারে। বেশি দেরি করলে আবার আমাদের হয়তো নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।'
বিসিবি ৭ দিনের বেশি কোয়ারেন্টিনের বিপক্ষে। বিসিবি আগের অবস্থানেই আছে জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, 'আমরা এখনও ই-মেইলের অপেক্ষায় আছি। টাস্ক ফোর্স কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করে শ্রীলঙ্কাতে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। তারা জানলে আমরা জানতে পারব। আমরা বলেছি কোয়ারেন্টিনের সময়কাল কমাতে হবে এবং আমাদের অনুশীলনের সুযোগ থাকতে হবে।'