ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়াটা এবাদতের কাছে, ‘অবাক করার মতো’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে দলে থাকলেও খেলা হয়নি এবাদত হোসেনের। জিম্বাবুয়ে সফরেও যাওয়ার কথা ছিল ডানহাতি এই পেসারের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। এবাদত অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) বিপক্ষে ম্যাচ খেলার। এর মধ্যেই জিম্বাবুয়ে সফরে ডাক পড়েছে তার। এমন হঠাৎ ডাকে অবাক বাংলাদেশের এই পেসার।
অন্যদের মতো আরও একটি কারণে অবশ্য অবাক হতে পারেন এবাদত। জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে আছেন তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। দলে চারজন পেসার থাকার পরও এবাদতকে ওয়ানডে দলে যুক্ত করা হয়েছে, যার এখনও ওয়ানডে অভিষেক হয়নি।
ওয়ানডে দলে ডাক পেয়ে অবাক হলেও আত্মবিশ্বাসী এবাদত। সাদা বলেই অনুশীলন চালিয়ে আসছিলেন বলে নিজেকে নিজেকে প্রস্তুত মনে করছেন টেস্ট দলের নিয়মিত এই সদস্য। জিম্বাবুয়েতে উড়াল দেওয়ার আগে মিরপুরে এবাদত বলেন, 'আমি বাংলা টাইগার্সের হয়ে এইচপির বিপক্ষে খেলার জন্য খুলনায় ছিলাম। ওখানে সাদা বলের জন্য গিয়েছিলাম। তাই সাদা বলের অনুশীলনটাই করে এসেছি।'
'গতকাল রাতে কল আসে- জাতীয় দলে যোগ দিতে হবে। শুনে খুব খুশি হয়েছি। প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল, যাওয়া হয়নি, মাঝখানে যাচ্ছি। একটু অবাক করার মতো। দেশের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। সুযোগ পেলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমি অনুশীলনের মধ্যে আছি। অনুশীলনের মধ্যে না থাকলে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকতাম। তাই আত্মবিশ্বাস ভালো আছে।' যোগ করেন এবাদত।
প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৩ রান করেও হেরে গেছে বাংলাদেশ। ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার সেঞ্চুরিতে ৯ বছর পর বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে হারায় জিম্বাবুয়ে। এই এক হারেই বাংলাদেশ ওয়ানডেতে খারাপ দল হয়ে গেছে বলে মনে করেন না এবাদত, 'ওয়ানডেতে দল হিসেবে আমরা খুবই ভালো। ২-১টা ম্যাচ খারাপ হলে আমরা দল হিসেবে খারাপ? আমরা দল হিসেবে ভালো। আমরা বাকি দুই ম্যাচ জিতলে সিরিজ তো আমাদেরই।'
উন্নতির পথে থাকা বাংলাদেশের পেস বিভাগ হাল ছাড়বে না জানিয়ে এবাদত আরও বলেন, 'গত দুই বছর ধরে পেস বোলিং ইউনিট উন্নতির চেষ্টা করছে। তাসকিন, মুস্তাফিজ, শরিফুল, আমি, খালেদ; সবাই ভালো করছে। আমরা হাল ছাড়ব না। উন্নতির গ্রাফ আরও ওপরের দিকে নিয়ে যেতে চাই। এখন পর্যন্ত কারও সাথে কথা হয়নি। তামিম ভাইয়ের সাথে সিরিজের আগে কথা হয়েছে। উনি অনেক প্রেরণা দিয়েছেন।'