নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ
আইসিসির মেয়েদের ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনায় (এফটিপি) অনেক ম্যাচ বেড়েছে বাংলাদেশের। পরবর্তী চক্রে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৫০টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। একদিন পরে ছেলেদেরও ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনাও প্রকাশ করল আইসিসি। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের চক্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে।
তিন বছরের চক্রে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশ মোট ১৫০টি ম্যাচ খেলবে। আগামী বছরের মে থেকে শুরু হতে যাওয়া এই চক্রে ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে (সব দলের মধ্যে সর্বোচ্চ) ও ৫৭ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৭টি ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বেশি ম্যাচ খেলার দিক থেকে ইংল্যান্ড তৃতীয়, ১৪২টি ম্যাচ খেলবে তারা।
বুধবার আইসিসির প্রকাশ করা এফটিপি অনুযায়ী আগামী চক্রে ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ ৭৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে, যা গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। এই চক্রে ১৭৩টি টেস্ট, ২৮১টি ওয়ানডে ও ৩২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রাখা হয়েছে। গত চক্রে মোট ম্যাচ ছিল ৬৯৪টি।
২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এই চক্রেই প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে তারা। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। এই চক্রেও ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট সিরিজ নেই বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলে তারা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২০২৩-২৫ চক্রে মধ্যে ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এ সময় ভারত, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফর করবে তারা। ২০২৫-২৭ চক্রে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা সফর থাকবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিটা সিরিজই দুই টেস্টের।
এ ছাড়া আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠ ও বাইরে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই চক্রে প্রতিবেশি দেশ ভারতের বিপক্ষে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪টি টেস্ট, ৬টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থাকবে। শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ৪টি করে টেস্ট এবং ৬টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ২টি করে টেস্ট এবং ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টের সঙ্গে আছে ৯ ওয়ানডে ও ৬ টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২ টেস্টের সঙ্গে আছে ৯ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ টেস্টের সঙ্গে ৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ টেস্টের পাশাপাশি থাকবে ৩ ওয়ানডে। কেবল প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ নেই বাংলাদেশের।
আগামী বছরের মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফর দিয়ে নতুন চক্র শুরু হবে বাংলাদেশের। এই সফরে আছে ৩টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি। এরপর ২০২৩ সালের বাকি সময়ে ৪টি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে ১৪ টেস্টের পাশাপাশি আছে ৯ ওয়ানডে ও ১৭ টি-টোয়েন্টি আছে।
২০২৫ সালে ৪ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ, এ বছর ১৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। ২০২৬ সালে ৮ টেস্টের সঙ্গে আছে ২০ ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি। ২০২৭ সালে আছে দুটি টেস্ট সিরিজ। একটি অস্ট্রেলিয়ায় এবং অন্যটি দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।