সিডন্সই শেখাবেন পাওয়ার হিটিং
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে হতাশার শেষ নেই বাংলাদেশের। এর মধ্যে ব্যাটিং নিয়ে হতাশা পাহাড় সমান। এই ফরম্যাটে রান করতে দরকার পাওয়ার হিটিং, যা পুরোপুরি অনুপস্থিত বাংলাদেশ দলে। দেরিতে হলেও এই ব্যাপারে 'বোধদয়' হয়েছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের। এবার তাই পাওয়ার হিটিং কোচের সন্ধানে তারা। যদিও খুঁজতে হচ্ছে না বিসিবিকে, ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সই দায়িত্বটি পালন করবেন।
এশিয়া কাপ মাঠে গড়াবে আগামী ২৭ আগস্ট। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই আসরের জন্য এখনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেনি বাংলাদেশ। তবে গত কয়েকদিন ধরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগতভাবে পাওয়ার হিটিং করে আসছেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, এনামুল হক বিজয়রা।
তাদেরকে পাওয়ার হিটিং শেখাচ্ছেন জেমি সিডন্স। এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় আপাতত অস্ট্রেলিয়ান এই কোচের কাছেই থাকছে দায়িত্বটি। এর আগে নিজের বাসায় ও বৃহস্পতিবার মাঠে এ বিষয়ে সিডন্সের সঙ্গে কথা হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। তিনি বলেন, 'কদিন আগে জেমি সিডন্স আমার বাসায় এসেছিলেন। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।'
'যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই, টি-টোয়েন্টির ভাবনাটা পরিবর্তন করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই। ১৩০ করে তো ম্যাচ জিততে পারবেন না। আমাদের ১৮০-২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে। এখন আমাদের যে পরিকল্পনা, ওটা করার কোনো লক্ষণই দেখছি না। এটা নিয়ে নতুন করে কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তখন জেমি এসে বলল যে সে নাকি এটাতে (পাওয়ার হিটিংয়ে) খুবই আগ্রহী।' যোগ করেন বিসিবি সভাপতি।
পাওয়ার হিটিং কোচিংয়ে বিশেষত্ব থাকায় সিডন্স নিজে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিসিবিও তার আগ্রহের সম্মান দেখাচ্ছে। নাজমুল হাসান বলেন, 'আমরা একটা পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন জেমি বলল তার নাকি এটাতে বিশেষত্ব আছে। তাই আমরা এই এশিয়া কাপটা দেখছি।'
'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ। কারণ খেলা অস্ট্রেলিয়ায়, সেখানে চ্যালেঞ্জও বেশি। ওই সব জায়গায় তো আমরা এমনিতেই স্ট্রাগল করি। সেটার কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। এই এশিয়া কাপে আমরা কিছু জিনিস পরিবর্তন করে দেখতে চাচ্ছি যে সব ঠিক আছে কি না। আর বেশি সময়ও হাতে নেই। হুট করে যে একজন কোচ এনে সব উন্নতি করে ফেলব, এটা ভাবা ঠিক হবে না।' বলেন নাজমুল হাসান।