‘পদত্যাগপত্র জমা দিইনি’
বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই রাসেল ডমিঙ্গোর চাকরি ছাড়া নিয়ে গুঞ্জন। এর কদিন পরে এসে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, প্রধান কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। তবে এই খবর উড়িয়ে দিয়েছেন ডমিঙ্গো, পদত্যাগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। বিসিবিও এমন খবর অস্বীকার করেছে।
তিনি যে পদত্যাগ করেননি, বিষয়টি নিজেই দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, 'এমন কিছু হয়নি। আমি পদত্যাগ করিনি, পদত্যাগপত্রও জমা দিইনি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। আপাতত এতটুকুই।'
কদিন আগে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ডমিঙ্গোকে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসন পাপন জানান, ডমিঙ্গো শুধু টেস্ট এবং ওয়ানডে দল নিয়ে কাজ করবেন। প্রধান কোচ না হলেও আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দল সামলাবেন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম।
সে সময় নাজমুল হাসান বলেন, 'রাসেল ডমিঙ্গো টি-টোয়েন্টিতে নয়। সে ওয়ানডে ও টেস্ট নিয়ে কাজ করবে। টি-টোয়েন্টি আমরা আলাদা করেছি। টি-টোয়েন্টিতে প্রধান কোচ বলে কেউ নেই। তবে আমরা একজন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট নিয়েছি টি-টোয়েন্টিতে। সে গেম প্ল্যানটা দেবে। এখন যদি সেই গেম প্ল্যান দেয়, তাহলে হেড কোচ কী করবে আর? কী করবে, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে সে (ডমিঙ্গো) আমাদের পুরো পরিকল্পনা দেবে।'
বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত সেদিন খুশি মনেই মেনে নেওয়ার কথা জানান ডমিঙ্গো। একই সংবাদ সম্মেলনে প্রোটিয়া এই কোচ বলেন, 'আমার পরিকল্পনা মনে ধরেছে। আমি মনে করি, এটা আমাকে টেস্ট ও পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে আরও মনোযোগী করে তুলবে।'
এশিয়া কাপের প্রস্তুতি পর্বে থাকার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন ডমিঙ্গো। তবে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় দেশে ফিরে যান তিনি। এখন পরিবারের সঙ্গে আছেন তিনি। এর মাঝেই কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, পদত্যাগ করেছেন ডমিঙ্গো। যা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই এই খবর উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
বিসিবির পক্ষ থেকেও একই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, 'রাসেল ডমিঙ্গো কোনো চিঠি বা পদত্যাগপত্র বিসিবিতে পাঠায়নি। মৌখিকভাবেও এই ধরনের কিছু বলেনি সে। প্রধান কোচ হিসেবেই এখন পর্যন্ত আছেন তিনি। তার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কথা হচ্ছে।'