সব অস্বীকার করা আল আমিনের উল্টো অভিযোগ
যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে জাতীয় দলের পেসার আল আমিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। বৃহস্পতিবার মিরপুর মডেল থানায় করা অভিযোগে বাসায় মেয়ে নিয়ে আসা ও অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের করার বিষয়ও উল্লেখ করেছেন তিনি। কিন্তু সবই অস্বীকার করেছেন আল আমিন।
উল্টো আল আমিনের অভিযোগ, নিজের নামে ফ্ল্যাট চেয়েছিলেন তার স্ত্রী। তিনি রাজি না হওয়ায় মনোমালিন্যের তৈরি হয়েছে। আল আমিনের ধারণা, আশেপাশের কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। এ ছাড়া মারধর করার বিষয়টিও পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তিনি।
আল আমিন বলেন, 'মারধর করার তো প্রশ্নই ওঠে না। একসঙ্গে থাকলে তো কতো কিছু নিয়েই মনোমালিন্য হয়। ও আমার কাছে দাবি করেছিল যে ওর নামে ফ্ল্যাট লিখে দিতে হবে। আমি এতে রাজি হইনি। এটা থেকেই রাগারাগি হয়েছে। তবে থানায় যাওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমার ধারণা, প্রতিবেশি মহিলারা আর আশেপাশের লোকজন ফুঁসলিয়ে ওকে থানায় যেতে বলেছে।'
দ্রুতই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে জানিয়ে আল আমিন আরও বলেন, 'মামলা তো আর হয়নি, অভিযোগ করেছে কেবল। তদন্ত কর্মকর্তা এলেই সব প্রমাণ হবে। আর আমাদের মধ্যেও দ্রুতই সব ঠিক হয়ে যাবে। দেখবেন, দু-একদিনের মধ্যে ও নিজেই বলবে যে সব ঠিক আছে, আমরা ভালো আছি।'
বৃহস্পতিবার করা অভিযোগে আল আমিনের স্ত্রী উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ আগস্ট আনুমানিক রাত ১০টায় আল আমিন বাসায় ফিরে যৌতুকের ২০ লাখ টাকা এনেছে কিনা, জিজ্ঞাসা করে। এতো টাকা বাবার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে ইসরাতকে এলোপাথারি মারধর শুরু করে আল আমিন। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করান ইসরাতকে।
কেবল এবারই নয়, অতীতেও বেশ কয়েকবার শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ইসরাত। আল-আমিন ও ইসরাত দম্পত্তির দুজন পুত্র সন্তান রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন আল আমিন। সর্বশেষ গত বছরের মার্চে দেশের হয়ে ম্যাচ খেলা ডানহাতি এই পেসার এর আগেও নারীঘটিত কারণে শাস্তির মুখে পড়েছেন। বিপিএল চলকালীন হোটেলে নারী অতিথি নিয়ে যাওয়ায় বড় অঙ্কের আর্থিক শাস্তি হয়েছিল তার। এ ছাড়াও অশোভন আচরণের কারণে শাস্তি পেতে হয়েছে দেশের হয়ে ৭ টেস্ট, ১৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলা আল আমিনকে।