শেষ বলে নাটক! রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানটান উত্তেজনাকর নিজেদের ৩য় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ৩ রানে হারিয়ে ২য় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পাওয়ার প্লেতে দলকে আশানুরূপ শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হাসান শান্ত। ইনিংস এর ২য় ওভারে কোনো রান না করেই সৌম্য, ৫ম ওভারে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। পাওয়ার প্লে'র সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেননি শান্ত আর সাকিবও; ফলে ৬ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২ রানে।
এরপর জিম্বাবুয়ের হিসেবি বোলিংয়ের সঙ্গে ইনিংস টি টোয়েন্টি মেজাজে এগিয়ে নিতে পারেননি তাঁরা, তবে দলীয় সংগ্রহ কে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেতে সাকিব-শান্তর ৫৪ রানের পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা ছিল। সাকিব ২০ বলে ২৩ রান করে ক্যাচ তুলে আউট হন, শান্ত তুলে নেন নিজের এবং এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অর্ধ শতক। শান্তর ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস শেষ হয় সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ তুলে আউট হওয়ার মাধ্যমে। এরপর আফিফের ১৯ বলে ২৯ রানের সময়োপযোগী ইনিংসের কল্যাণে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫০ রানে। জিম্বাবুয়ের হয়ে এনগ্রাভারা এবং মুজারাবানি ২টি করে উইকেট নেন।
১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারের মধ্যে তাসকিন এবং মুস্তাফিজের পেস ঝড়ের কবলে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন আপ। ৩৫ রানের মধ্যে ৪ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন-মুস্তাফিজ জুটি। ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন দুজনে। ৬৯ রানের মাথায় রেজিস চাকাভা আউট হওয়ার পরে জিম্বাবুয়ে কে লক্ষ্যের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সীন উইলিয়ামস এবং রায়ান বার্ল। দুজনের ৬৩ রানের জুটির সুবাদে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলে জিম্বাবুয়ে। উইলিয়ামসকে আউট করে সেই আশা ক্ষীণ করে দেন সাকিব। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। মোসাদ্দেকের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব, তার ওভারের ৩য় এবং ৪র্থ বলে চার ও ছয় মেরে ম্যাচ নিজেদের নাগালে নিয়ে আসেন এনগ্রাভারা, ৫ম বলে এনগ্রাভারা স্টাম্পড আউট হন। শেষ বলে ক্রিজ ছেড়ে মারতে এসে স্টাম্পড হন মুজারাবানিও। ৪ রানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ, কিন্তু বাংলাদেশের আনন্দে বাগড়া দেন থার্ড আম্পায়ার; রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পের সামনে থেকে কব্জা করেছেন উইকেট কিপার সোহান, নো বল কল করে আবারও মুজারাবানিকে ব্যাটিং এ পাঠান টিভি আম্পায়ার। তবে শেষ পর্যন্ত লিগাল বলে কোনো রান করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৪ রানে জেতা ম্যাচ বাংলাদেশ জেতে ৩ রানে। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন দলের সবাই।