ভারতের লেজের দাপটে বাংলাদেশের অস্বস্তি
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/12/15/bd_vs_ind_1.jpg)
চট্টগ্রাম টেস্টে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ভারত। স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের মধ্যে ছিলেন কেবল শ্রেয়ার আইয়ার। যিনি দ্বিতীয় দিন সকালেই সাজঘরে ফেরেন। এরপরও ভারতের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দিতে বাংলাদেশকে বেগ পেতে হলো। ভারতের লেজের ব্যাটসম্যানরা দলকে নিয়ে গেলেন অনেকটা পথ। যেখানে নেতৃত্ব দিলেন অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও পেসার কুলদীপ সেন। আরেক পেসার উমেশ যাদবও কম যাননি।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারত প্রথম ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান তুলেছে। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের কিছুটা সময় পর্যন্ত ব্যাটিং করা ভারত এদিন আরও ১২৬ রান তুলেছে। যা এসেছে সফরকারীদের শেষের চার ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। অশ্বিন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি, কুলদীপও খেলেছেন চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস।
অথচ দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল ভারতের শেষের কয়েক উইকেট তুলে নিতে বেশি সময় লাগবে না। আগের দিন তিনবার জীবন পেয়ে ৮২ রানে অপরাজিত থাকা শ্রেয়াস আইয়ারকে এদিন শুরুতেই ফিরিয়ে দেন পেসার এবাদত হোসেন। ১৯২ বলে ১০টি চারে ৮৬ রান করেন শ্রেয়াস। এদিনও ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানের একটি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতেই উইকেট হারানোর চাপ অবশ্য ভারতকে বুঝতে হয়নি। অষ্টম উইকেটে জুটি গড়ে তোলেন অশ্বিন ও কুলদীপ। বাংলাদেশের বোলারদের হতশায় ডুবিয়ে এই দুজন যোগ করেন ৯১ রান। এ সময় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অশ্বিন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১১৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের ডানহাতি স্পেনার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দলীয় ৩৮৫ রানে অশ্বিন আউট হওয়ার পর ভারত আর বেশি পথ পাড়ি দিতে পারেনি।
কিছুক্ষণ পর কুলদীপকে ফেরান আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ফেরার আগে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যানের মতোই ভূমিকা পালন করেন তিনি। খেলেন ১১৪ বলে ৫টি চারে ৪০ রানের ইনিংস। উমেশ ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। আগের দিন ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৯০ রানের ইনিংস খেলেন জেতেশ্বর পূজারা। এ ছাড়া অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ২২, শুভমান গিল ২০ ও ঋষভ পন্ত ৪৬ রান করেন।
টেস্টে সব সময়ের মতো বাংলাদেশের বোলিংয়ের নেতৃত্ব ছিলেন স্পিনাররাই। মিরাজ ও তাইজুল ৪টি করে উইকেট নেন। তাইজুল ৪০ ওভারে ১৩৩ ও মিরাজ ৩১.৫ ওভারে ১১২ রান খরচা করেন। বাংলাদেশের দুই পেসার এবাদত ও খালেদ একটি করে উইকেট নেন। পিঠে চোট থাকায় অধিনায়ক সাকিব মাত্র ১২ ওভার বোলিং করেছেন। দুই-এক ওভার করে বোলিং করে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বি।