বিপিএলের সিইও হতে সাকিবকে বিসিবির আহ্বান
দুদিন আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন সাকিব আল হাসান। নানা অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করে বিসিবির সদিচ্ছার অভাবের কথা জানান সাকিব। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের মতে, বিপিএলে যা-তা অবস্থা চলে। তবে এই অবস্থা বদলাতে বেশি সময় লাগার কথা নয় বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিপিএলের সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) হলে দুই-এক মাসের মধ্যে সবকিছু বদলে দিতেন বলে দাবি তার।
দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে দেশের সবচেয়ে বড় আসর নিয়ে সমালোচনা করায় গত কয়েকদিন ক্রিকেটাঙ্গনে এ নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হয়েছে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনকে। শুক্রবার এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেলকে। জবাবে শেখ সোহেল জানান, সিইও হতে চাইলে সাকিবের জন্য সব সময় দরজা খোলা। বিসিবি তাকে স্বাগত জানাবে।
শুক্রবার মাঠে গড়িয়েছে বিপিএলের নবম আসর। এদিন দুই ম্যাচের মাঝে বিপিএলের অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। সেখানে শেখ সোহেল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
সাকিব সিইও হলে সব পাল্টে দিতেন, এই ব্যাপারে আপনাদের কী ব্যাখ্যা? এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ সোহেল বলেন, 'সাকিব আগ্রহ প্রকাশ করেছে, আমি প্রথমে সাকিবকে ওয়েলকাম জানাই। ও বিপিএলের সিইও হিসেবে আসতে চায়, ও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গভর্নিং কাউন্সিলে তাকে আসার জন্য ওয়েলকাম জানাই। ও যদি চায়, সামনের বছর এসে দায়িত্ব পালন করুক।'
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান আরও বলেন, 'এখানে আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই, সে সিইও হিসেবে আসতে চায়। পরবর্তী বছরে সে সিইও হিসেবে আসুক। বিপিএলে কাজ করুক, আমাদের সাহায্য করুক। অবশ্যই ওয়েলকাম করবো। এখন তো সে খেলছে, এখন সে খেলা ছেড়ে আসতে পারবে না। সে পরের বছরে চলে আসুক।'
গত বুধবার বিপিএলের সমালোচনা করে সাকিব বলেছিলেন, 'আমাকে যদি সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমার বেশি দিন লাগবে না। ১ থেকে ২ মাস লাগবে সব ঠিক করতে, সর্বোচ্চ! ২ মাসও লাগার কথা নয়। বিপিএলের সিইও হলে সব কিছু বাদ দিয়ে নতুন করে ড্রাফট অকশন হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে, আধুনিক প্রযুক্তি থাকবে, সম্প্রচারের মান ভালো থাকবে, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।'