নিজেরা প্লে-অফে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রামকে বিদায় করে দিল রংপুর
দিনের প্রথম ম্যাচে হেরে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে খুলনা টাইগার্স। একটি জায়গার জন্য লড়াইয়ে ছিল তিনটি দল। কিন্তু রংপুর রাইডার্সের জয়ে সব সমীকরণ মিলে গেল। ষষ্ঠ জয় তুলে নিলো রংপুর, মিললো প্লে-অফের টিকেট। রংপুরের এই জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচ হারা ঢাকা ডমিনেটর্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লো স্কোরিং থ্রিলারে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত হলো বিপিএলের একবারের চ্যাম্পিয়নদের। ৯ ম্যাচে ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট রংপুরের। আজ পর্যন্ত প্লে-অফের রেসে থাকা বাকি দলগুলোর কারও ১২ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্লে-অফের টিকেট কাটে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটের পর প্লে-অফ নিশ্চিত করা বাকি দুই দল ফরচুন বরিশাল (১৪ পয়েন্ট) ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (১২ পয়েন্ট)। ৩টি জয় পাওয়া ঢাকার আর একটি ম্যাচ বাকি আছে। ম্যাচটিতেও জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৮, যা যথেষ্ট নয়। তাই এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিতে হলো নাসির হোসেনের দলকে। ২ জয় জয় পাওয়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাকি আছে তিন ম্যাচ। ম্যাচগুলো জিতলেও তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১০, রংপুরের সাতে ২ পয়েন্টের ব্যবধানে থেকেই যাবে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা ডমিনেটর্স। আসরজুড়ে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকা দলটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করে। আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যালেক্স ব্লেক, আরিফুল হকদের লড়াকু ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৩০ রান তোলে ঢাকা। জবাবে রনি তালুকদারের লড়াইয়ের পর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের হাফ সেঞ্চুরির পরও বিপাকে পরে রংপুর। ঢাকার শরিফুল ইসলাম, নাসির হোসেনদের দারুণ বোলিংয়ের মুখে সহজ ম্যাচ কঠিন করলেও শেষ পর্যন্ত রংপুর জয় পায়। দলটির মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। ব্যাটিং করা বাকি ৮ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ছিল ৮।
লক্ষ্য ছোট ছিল, কিন্তু রংপুরের শুরুটা হয় চরম এলোমেলোভাবে। প্রথম ওভারেই বিদায় নেন ওপেনার নাঈম শেখ। তৃতীয় ওভারে থামেন মেহেদি হাসানও। ৯ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন রনি ও সোহান। তৃতীয় জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন তারা। তখন রংপুরের জয় সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু তিন বলের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হলে রংপুর শিবিরে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয়।
রনি ৩৯ বলে ৩টি চারে ৩৪ রান করেন। অধিনায়ক সোহান ৩৩ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। রনি-সোহানসহ ২২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় রংপুর। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হারিস রউফ অপরাজিত ৭ রান করে ৩ বল বাকি থাকতে দলের জয় নিশ্চিত করেন। রংপুরকে দিক ভুলিয়ে দেওয়া ঢাকার অধিনায়ক নাসির ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন। তরুণ বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ১৮ রানে ৩টি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকার হয়ে কেউ-ই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৬ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন আরিফুল হক। এ ছাড়া আল মামুন ২৩, অ্যালেক্স ব্লেক ১৮, শরিফুল ১১ ও আমির হামজা অপরাজিত ১৫ রান করেন। রংপুরের ওমরজাই ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শেখ মেহেদি, হারিস রউফ, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ।