চেলসির ট্রান্সফার ব্যয় দেখে বিস্মিত ক্লপ-গার্দিওলা
শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে চেলসির বিপুল পরিমাণ অর্থলগ্নি দেখে বিস্মিত প্রিমিয়ার লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটির কোচ জার্গেন ক্লপ ও পেপ গার্দিওলা। এবারের মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজার উন্মুক্ত হওয়ার পর নতুন খেলোয়াড় কেনা বাবদ চেলসি ৬০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি ব্যয় করেছে।
যা চেলসির ইতিহাসে তো বটেই, ব্রিটিশ ফুটবলেও সর্বোচ্চ। শীতকালীন দলবদলের শেষ দিনে প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড ১২০ মিলিয়ন ইউরোতে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনসো ফার্নান্দেসকে বেনফিকা থেকে দলে ভিড়িয়েছে ব্লুজরা। জানুয়ারিতে আরও সাতজন খেলোয়াড়কে দলে নিয়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা।
চেলসির বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় প্রসঙ্গে লিভারপুল কোচ ক্লপ বলেছেন, 'আমার আইনজীবি ছাড়া এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। ব্যবসার এই অংশটি আমি আসলে বুঝতে পারি না। কিন্তু দলবদলের দুই বাজারে অর্থের পরিমাণটা অনেক বড়, এটা বুঝতে পারছি। যে খেলোয়াড়দের চেলসি দলে নিয়েছে, তারা সবাই ভালো। এ কারণে চেলসিকে অভিনন্দন। আমি জানি না এটা কীভাবে সম্ভব হলো। কীভাবে কাজটি হয়েছে, তা ব্যাখ্যা দেওয়ার মতো আমি কেউ নই।'
প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিরও ট্রান্সফার মার্কেটে বিশাল অর্থ ব্যয় করার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু জানুয়ারিতে তারা একটিমাত্র চুক্তি করেছে। টেবিল টপার আর্সেনালের থেকে পাঁচ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা সিটি আর্জেন্টাইন ক্লাব ভেলেজ সার্সফিল্ড থেকে ম্যাক্সিমো পেরোনকে দলে ভিড়িয়েছে।
সিটি বস গার্দিওলা অবশ্য চেলসির দলবদল নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি সব সময়ই নিজের ক্লাবের অর্জন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পছন্দ করেন। গার্দিওলা বলেছেন, 'এটা মোটেই আমার কাজ নয়। তারপরও বিষয়টা বিস্ময়কর। আমি কখনও অন্য ক্লাব নিয়ে মতামত জানাই না। তবে আমি অবাক হয়েছি। কারণ চেলসি কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ক্লাব নয়। গত পাঁচ বছরে আমরা ১১টি ট্রফি জিতেছি। প্রিমিয়ার লিগে সামগ্রিকভাবে খরচের তালিকায় আমরা পাঁচে বা ছয়ে আছি। এটা নিয়ে আমি বেশ উদ্বিগ্ন।'