নিষ্প্রভ মেসি-নেইমার, নিজেদের মাঠে বায়ার্নের কাছে হার পিএসজির
শুরুর একাদশে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে, যদিও ছিলেন লিওনেল মেসি এবং নেইমার। তবুও সেটি নিজেদের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি পিএসজির জন্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে বাদ পড়ার শঙ্কায় এখন গালতিয়েরের দল।
পুরো ম্যাচজুড়ে নিষ্প্রভ ছিলেন দুই লাতিন মহাতারকা, চোট থেকে ফেরা কিলিয়ান এমবাপ্পে ৩০ মিনিটের জন্য নামলেও তা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেনি। উল্টো প্রতিপক্ষের মাঠে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন।
প্যারিসে এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বায়ার্ন। বল পায়ে প্রথম মিনিট থেকে পিএসজির ডি-বক্সের হানা দেয় জার্মান ক্লাবটি। বায়ার্নের হাই-প্রেসিং ফুটবলের সামনে থিতু হতে কিছুটা সময় নেন মেসি-নেইমাররা।
শুরুতে মেসি একাধিক আক্রমণ তৈরি করলেও তা কাজে লাগেনি। বায়ার্নের রক্ষণের আশপাশে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে সেই প্রচেষ্টাগুলো। ফিনিশিং নিয়ে অবশ্য ভুগতে হচ্ছিল বায়ার্নকেও। চাপ তৈরি করেও তাই পিএসজিকে বিপদে ফেলতে পারছিল না তারা। কিছুটা কৃতিত্ব অবশ্য পিএসজির রক্ষণকেও দিতে হবে। বার্য়ানের কিছু আক্রমণ দারুণভাবে রুখেছেন সের্হিও রামোসরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপ্পেকে নামার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। তবে মাঠের খেলা যেন প্রথমার্ধেরই পুনরাবৃত্তি। ভিন্ন কিছু করতে পারছিলেন না মেসি-নেইমারও। দুই মহাতারকা তারকা খোলস ছেড়ে বেরোতে না পারলেও, বায়ার্ন ঠিকই পেয়ে যায় নিজেদের প্রাপ্য গোলটি। আলফোনসো ডেভিসের মাপা ক্রসে দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্য ভেদ করেন কিংসলে কোমান।
গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ৫৭ মিনিটে এমবাপ্পেকে নামান পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের। তবে এমএনএম ত্রয়ী একসঙ্গে মাঠে নিজেদের ছাপ রাখতে পারছিলেন না। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল পেতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে। একই আক্রমণে গোল পাননি নেইমারও। এরপর এমবাপ্পে গোল করলেও তা বাতিল হয় অফসাইডে। শেষ দিকে এমবাপ্পের কারণেই মূলত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারে পিএসজি। তবে চেষ্টা করেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। পিএসজিকে মাঠ ছাড়তে হয়ে হার নিয়ে।