টেনিসে নতুন ইতিহাস বাংলাদেশি মাসফিয়ার
আজ থেকে এই ভেন্যুতে শুরু হয়েছে জুনিয়র বিশ্ব টেনিস সিরিজ। প্রতিযোগিতায় কতজন খেলোয়াড় এসেছে, তাদের ড্র, কখন কোন খেলোয়াড় কার বিপক্ষে খেলতে নামবেন এসব কিছুর সূচি তৈরি করার দায়িত্ব এক মাসফিয়া আফরিনের ওপর।
আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে দিয়েই মাসফিয়া ইতিহাস গড়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী রেফারি হিসেবে কোনো টেনিস ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি।
টেনিস খেলার অবিচ্ছেদ্য অংশলাইন আম্পায়ার, চেয়ার আম্পায়ার, কমিউনিটি অফিসিয়ালরা, পাশাপাশি রেফারির ভূমিকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন রেফারিকে জানতে হয় টেনিসের সব ধরনের নিয়মকানুন।
প্রতিযোগিতার ড্র থেকে শুরু করে সূচিসহ সবকিছু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয় রেফারিকে। এ ছাড়া প্রতিযোগিতার সবকিছু ঠিকঠাক ও স্বচ্ছভাবে চলছে কি না, সেটাও দেখতে হয় তাকে।
২০১০ সাল থেকে জাতীয় ও বয়সভিত্তিক একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছেন মাসফিয়া। এরপর রেফারিংয়ে লেভেল ওয়ান কোর্স করেছেন গত বছর। জানুয়ারিতে ঢাকায় হয়েছিল আইটিএফ (আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন) অনূর্ধ্ব-১৪ ডেভেলপমেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই টুর্নামেন্টে সহকারি রেফারি হিসেবে কাজ করেছেন মাসফিয়া। এবার প্রধান রেফারির দায়িত্ব পেয়ে আনন্দিত তিনি।
দশ বছরের খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে অনূর্ধ্ব-১০, অনূর্ধ্ব-১২, অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মাসফিয়া। মেয়েদের জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ে ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম মেয়ে হিসেবে আইটিএফ ডেভলপমেন্ট বৃত্তি নিয়ে উজবেকিস্তানে খেলেছেন তিনি।
এছাড়াও খেলেছেন মালেয়িশয়ায় অনুষ্ঠিত বিলি জিন কিং কাপের জুনিয়র টুর্নামেন্টে। এ ছাড়া নেপালে অনুষ্ঠিত আইটিএফ অনূর্ধ্ব-১২ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে আর ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারতে খেলেছেন আইটিএফ অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপে। শ্রীলঙ্কায় খেলেছেন বিশ্ব জুনিয়র টেনিস টুর্নামেন্টে।