মিরপুরের ডাবল সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
'হোম অব ক্রিকেট' বলা হয়, মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে। ঘরের মাঠের স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে এই স্টেডিয়াম সবচেয়ে প্রিয় বাংলাদেশের। কেবল জাতীয় দলের বেশি ম্যাচই যে এখানে খেলা হয়, তেমন নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক টুর্নামেন্টের ম্যাচই এখানে আয়োজিত হয়। জাতীয় দলের সফলতার মঞ্চ হিসেবেও দেশের বাকি মাঠগুলোর চেয়ে এগিয়ে মিরপুর। শুক্রবার দারুণ এক মাইলফলক পূর্ণ হলো স্টেডিয়ামটির।
এদিন তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যা মিরপুর স্টেডিয়ামের ২০০তম (তিন ফরম্যাট মিলিয়ে) আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ এখানেই খেলেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ১৮৬টি ওয়ানডে খেলেছে তারা, এর মধ্যে মিরপুরেই হলো ১০০টি। স্টেডিয়ামের ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের হলো সেঞ্চুরি। ১০০ ওয়ানডের মধ্যে ৫০টি ম্যাচ জিতেছে তারা।
২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয় মিরপুরে। অভিষেকের সেই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ৮ উইকেটের জয় দিয়ে মাঠটির অভিষেক স্মরণীয় করে রাখে বাংলাদেশ। যদিও শততম ম্যাচটি মনে রাখার মতো হলো না সাকিব, তামিম, মুশফিকদের। ম্যাচটি ১৩২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালের ২৫ মে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে টেস্ট যাত্রা শুরু হয় মিরপুর স্টেডিয়ামের। ওয়ানডের মতো প্রথম টেস্ট স্মরণীয় করে রাখা হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংস ও ২৩৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা। চার বছর পর ২০১১ সালের অক্টোবরে মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ।
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে মিরপুর বিশ্বের ষষ্ঠতম ভেন্যু। তালিকায় সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। এই মাঠে ২৮৯টি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। দুইয়ে থাকা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাচ হয়েছে ২৮৪টি। তিন নম্বরে থাকা আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৮২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ২৪৩টি ম্যাচ হয়েছে, সর্বোচ্চ ম্যাচ আয়োজনে মাঠটি চার নম্বরে। পাঁচে থাকা ইংল্যান্ডের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২২১টি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। এরপর মিরপুর বিশ্বের ষষ্ঠ ভেন্যু হিসেবে শুক্রবার ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করলো। এর মধ্যে ১১৭টিই ওয়ানডে, ৫৯টি টি-টোয়েন্টি ও ১৭টি টেস্ট ম্যাচ।