দ্বিতীয় দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি মুশফিকের
গতি বা দ্রুততম; এমন জাতীয় শব্দ হয়তো মেনে ধরেছে মুশফিকুর রহিমের। কিছুদিন আগেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন তিনি। এবার আইরিশদের বিপক্ষে টেস্টে নিজের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান, নামের পাশে যোগ হলো দশম টেস্ট সেঞ্চুরি।
চাপে পড়া দলকে ঠিক পথে ফেরানোর মিশনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সাকিব ছয় বছরের অপেক্ষা ফুরিয়ে টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি। তবে মুশফিক ঠিকই পৌঁছান তার কাঙ্খিত ঠিকানায়। ১৩৫ বলে ১৩টি চার ও একটি ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। আজ হাফ সেঞ্চুরির মতো সেঞ্চুরিও চার মেরে পূর্ণ করেন মুশফিক।
সাকিব-মুশফিকের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের করা ২১৪ রান পেরিয়ে ইতোমধ্যে ১০০ রানের বেশি লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবের বিদায়ের পর মেহেদী মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরকার্ডে রান যোগ করে যাচ্ছিলেন মুশফিক। কিন্তু নিজেদের ইনিংসের ৬৮তম ওভারে থামতে হয় তাকে। ফেরার আগে ১৬৬ বলে ১৫টি চার ও একটি ছক্কায় ১২৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
সচরাচর আরও সময় নিয়ে টেস্টে ব্যাটিং করেন মুশফিক। কিন্তু আজ ১৩৫ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন সেঞ্চুরি। ৮৫টি টেস্ট খেলার ক্যারিয়ারে এটা তার দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরি ১১২ বলে। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ১৭টি চার ও একটি ছক্কায় ১০১ রান করেন তিনি, যা ছিল তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড তামিম ইকবালের দখলে, ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
টেস্টে আগে থেকেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক মুশফিকুর রহিম। এই ইনিংস দিয়ে দুইয়ে থাকা তামিমের সঙ্গে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নিলেন তিনি। ৮৫ টেস্টে ১৫৬ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৮.০৯ গড়ে ৫ হাজার ৪৪৭ রান করেছেন মুশফিক। ৫ হাজার ১০৩ রান নিয়ে দুইয়ে তামিম। এ দুজনের টেস্ট সেঞ্চুরিও সমান, ১০টি করে। ১১টি সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল হক সবার উপরে।