এশিয়া কাপে জায়গা করে নিয়ে নেপালের ইতিহাস
নেপালের জন্য বিশেষ এক দিনই আজ বটে। বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে পা রাখার খুব বেশিদিন হয়নি দেশটির। এর মধ্যে টুকটাক আনন্দের উপলক্ষ্য এসে থাকলেও আজ তারা যা করেছে তার সঙ্গে তুলনা হবে না কোনো কিছুরই।
এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নেপাল। এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ফাইনালে আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে এই ইতিহাস রচনা করেছেন লামিচানেরা।
সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে হতে যাওয়া এবারের এশিয়া কাপের 'এ' গ্রুপে নেপালের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক পাকিস্তান ও পরাশক্তি ভারত।
বৃষ্টির কারণে রিজার্ভ ডেতে গড়ানো ম্যাচে আরব আমিরাতকে ১১৭ রানে অলআউট করে দিতে ৭.১ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন নেপালের বাঁহাতি স্পিনার ললিত রাজবংশী। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কারান ও লামিচানে।
কীর্তিপুরে গতকাল টস জিতে ভেজা আবহাওয়ায় আরব আমিরাতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নেপাল। গতকাল বৃষ্টি আসার আগে ২৭.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৬ রান তুলেছিল আরব আমিরাত। আজ তারা অলআউট হয়ে ৩৩.১ ওভারে ১১৭ রান তুলে।
১১৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতলেও বিষয়টি খুব একটা সহজ ছিল না নেপালের জন্য। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া স্পিন আক্রমণের মুখে পড়ে ২২ রানে ৩ উইকেট হারায় নেপাল। এখান থেকে দলকে জেতাতে ৩ চার ও ৬টি ছয়ে ৮৪ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেন গুলশান ঝা।
আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ভীম শার্কি ৭২ বলে করেন ৩৬ রান। চতুর্থ উইকেটে এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে ৩০.৩ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় নেপাল।
বোলিংয়ে ১০ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর অপরাজিত ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন গুলশান। ৩ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৫৫ রান ও ৪ ইনিংসে বোলিং করে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন লামিচানে।