মরিনহোর রেকর্ডে ভাঙন ধরিয়ে ইউরোপা লিগের রাজা সেভিয়া
সেভিয়ার ছিলো কখনো ইউরোপা লিগের ফাইনালে না হারার রেকর্ড, আর হোসে মরিনহো কখনো ইউরোপিয়ান কোনো ফাইনালে হারেননি। দুটির যেকোনো একটির ভাঙন অনিবার্যই ছিলো। যেখানে হেরে গেলেন হোসে মরিনহো।
রোমাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতেছে সেভিয়া। গত নয় বছরে এটি তাদের পঞ্চম শিরোপা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা যদি হয় রিয়াল মাদ্রিদ তাহলে ইউরোপা লিগে সেটি সন্দেহাতীত ভাবেই সেভিয়া। সাতবার ফাইনাল খেলে প্রত্যেকবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়েছে তারা। বলা বাহুল্য, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার মধ্যে দ্বিতীয় সারির এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চবারের চ্যাম্পিয়ন তারাই।
বুদাপেস্টের ফাইনালে ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল রোমাই। চোট থেকে ফিরেই গোল করে দলকে শিরোপার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন পাওলো দিবালা।
দ্বিতীয়ার্ধে সেভিয়া সমতায় ফেরে, সেটিও রোমার মানচিনির আত্মঘাতী গোলে। এই ফাইনালটি নিজের স্মৃতি থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে চাইবেন মানচিনি। টাইব্রেকারেও নিজের শট মিস করেছেন তিনি।
নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের পরেও দুই দলকে আলাদা করা যায় নি। টাইব্রেকারের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের খেলায় নামতে হয় সেভিয়া ও রোমাকে।
সেখানে নায়ক বনে যান সেভিয়া গোলরক্ষক ইয়াসিনে বোনো। বিশ্বকাপে মরক্কোর সেমি-ফাইনাল খেলার পেছনে বড় অবদান রাখা বোনো ইউরোপা লিগের ফাইনালেও সেভিয়াকে জিতিয়েছেন টাইব্রেকারে শট ঠেকিয়ে।
নিজেদের প্রথম তিন শটের দুটি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় রোমা। আর প্রথম চার শটেই গোল করে সেভিয়া। ফলে ৪-১ গোলে টাইব্রেকার জিতে ইউরোপা লিগের রাজা হিসেবে অধিষ্ঠিত হয় স্প্যানিশ ক্লাবটি।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ইউরোপা লিগ ফাইনালেও টাইব্রেকারে দলের হয়ে জয়সূচক পেনাল্টি নেন গঞ্জালো মন্তিয়েল।
এই হারের ফলে হোসে মরিনহোর ইউরোপিয়ান ফাইনালে অজেয় থাকার রেকর্ড আর রইল না। এর আগে পাঁচটি ফাইনাল খেলে সব গুলোই জিতেছেন 'দ্য স্পেশাল ওয়ান'। ষষ্ঠ ফাইনালে এসে তার সেই সাম্রাজ্যের পতন ঘটল।
দুই দলের কেউই নিজেদের লিগের সেরা চারে না থাকায় সুযোগ ছিলো ইউরোপা লিগ জিতে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার। চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেভিয়া নাম লিখিয়েছে ইউরোপ সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায়।