অধিনায়কত্বের অভিষেকেই শান্তর রেকর্ড
একটা সময়ে তার দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে হতো সমালোচনা। ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তকে, হতেন ট্রলের শিকারও। সেই শান্তই এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের অন্যতম ভরসা।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছন্দ খুঁজে পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান দারুণ ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছেন, তিন ফরম্যাটেই ধারাবাহিকভাবে রান করেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেতৃত্বে দেওয়ার সুযোগও মিলেছে। আর অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নেমেই দারুণ এক কীর্তি গড়লেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
কিউইদের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করেন লিটন কুমার দাস। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তাকে বিশ্রাম দিয়ে নেতৃত্বভার দেওয়া হয় শান্তকে। অধিনায়কত্ব পেয়ে চাপের বদলে রোমাঞ্চ কাজ করার কথা জানান তিনি। নেতৃত্ব যে তিনি উপভোগ করছেন, সেটা তার ব্যাটিং দেখেই বোঝা গেছে।
ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে একমাত্র শান্তই দলকে পথ দেখান, বাকিরা সবাই যোগ দেন আসা যাওয়ার মিছিলে। তিনে নেমে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া শান্ত ৮৪ বলে ১০টি চারে ইনিংস সেরা ৭৬ রান করেন। বাংলাদেশের বাকি ১০ ব্যাটসম্যান মিলে করেন করেন ৯৫ রান। ৩৪.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৭১ রানে।
৭৬ রানের ইনিংসটি দিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলে নিয়েছেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এখন তার। এতোদিন অধিনায়কত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। ১৯৯৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ৭০ রান করেন তিনি। নেতৃত্বের অভিষেকের ম্যাচে হাবিবুল বাশার ৬১ ও সাকিব আল হাসান ৫৪ রান করেন। নেতৃত্বের অভিষেকে বাংলাদেশের আর কেউ হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি।