বিশ্বসেরার মুকুট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ২৪১
দাপুটে শুরুতে ঝড়ো ইনিংস খেললেন রোহিত শর্মা। পরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। এরপরও বড় সংগ্রহ গড়া হলো না ভারতের। প্যাট কামিন্স, মিচল স্টার্ক, জশ হাজেলউড, অ্যাডাম জ্যাম্পদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে বলার মতো রান যে এই তিনজনই করতে পেরেছেন। বোলারদের নিয়ে শেষ দিকে সূর্যকুমারের লড়াই বেশি রান যোগ করেনি ভারতের স্কোরকার্ডে।
রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে আগে ব্যাটিং করা ভারত ৫০ ওভারে ১০ উইকেটে ২৪০ রান তুলেছে। বিশ্বকাপের আয়োজক দলটির পাঁচজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। বাকিদের কেউ ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। এদিন শুভমান গিল, শ্রেয়াস আইয়ার, রবীন্দ্র জাদেজা পারেননি ব্যাট হাতে দলকে পথ দেখাতে।
দাপুটে শুরু করলেও দলীয় ৩০ রানে উইকেট হারায় ভারত, ফিরে যান ওপেনার শুভমান গিল। যদিও তাকে হারানোর চাপ সহজেই কাটিয়ে তোলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কোহলি। কিন্তু ৭০ পেরিয়ে হঠাৎ দিক হারায় ভারত। দলীয় ৭৬ রানে ম্যাক্সওয়েলের বলে ক্যাচ তুলে আউট হন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ রান করা রোহিত।
৫ রান পরই ফিরে যান শ্রেয়াস আইয়ার। শেষ দুই ম্যাচে টানা দুই সেঞ্চুরি করা ভারতের এই ব্যাটসম্যান ৩ বলে ৪ রান করেন। ৫ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ভারতকে এগিয়ে নিতে থাকেন কোহলি ও রাহুল। চাপে পড়ে যাওয়ায় ধীর-স্থির ব্যাটিং করতে থাকেন তারা। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। এই জুটি ভেঙে ভারতের চাপ বাড়ান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
দলীয় ১৪৮ রানে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। অফ স্টাম্পের বাইরে কামিন্সের করা বুক সমান ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন আগের ম্যাচে ওয়ানডের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিতে শচিন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৬৩ বলে ৪টি চারে ৫৪ রান করেন কোহলি। ওয়ানডেতে এটা তার ৭২তম হাফ সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপের ১২তম।
কিছুক্ষণ পরই বিদায় নেন ২২ বলে ৯ রান করা জাদেজা। ২০০ পেরিয়ে স্টার্কের দুর্বার এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন রাহুল। ১০৭ বলে একটি চারে ইনিংস সেরা ৬৬ রান করেন ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর অজিদের শাসন করা বোলিংয়ে সামনে সূর্যকুমার কিছু রান করেন। ২৮ বলে একটি চারে ১৮ রান করেন তিনি।
স্টার্ক সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। ২৮ ম্যাচে ৬৫ উইকেট হলো তার, যা বিশ্বকাপ ইতহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ। কামিন্স ১০ ওভারে ৩৪ রানে ২টি উইকেট নেন। হ্যাজেলউডের শিকারও ২ উইকেট, ১০ ওভারে তার খরচা ৬০। একটি করে উইকেট পান জ্যাম্পা ও ম্যাক্সওয়েল। এই উইকেটে এবারের আসরে ২৩ উইকেট হলো জ্যাম্পার। যৌথভাবে মোহাম্মদ শামির সঙ্গে শীর্ষে আছেন তিনি।